নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে ১ মাসের ছুটি চেয়েছেন প্রাক্তন নগরপাল। কিন্তু সময় দিতে নারাজ সিবিআই। রবিবার বিকেলে নবান্নে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের ৩ জন প্রতিনিধি। তাঁদের হতে রয়েছে ৪টি চিঠি। ডিজিকে দু'টি চিঠি দেন সিবিআই কর্তারা। ছুটির দিন থাকায় মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব সোমবার চিঠি দেওয়া হবে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছুটির দিন ঠিক ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ নবান্নে হাজির হন সিবিআইয়ের ২জন আধিকারিক। তাঁদের হতে ছিল ৪ টি চিঠি। মুখবন্ধখামে ৪টি চিঠি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিকে দিতে গিয়েছিল সিবিআই। রাজীব কুমার সংক্রান্ত চিঠি কিনা, তা বলতে চাননি সিবিআই প্রতিনিধিরা। চিঠিতে কী লেখা রয়েছে, তাও ভাঙতে চাননি। তবে রাজীব কুমারের অবস্থান জানতে চেয়ে ডিজি-কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 


খানিকক্ষণ দরজায় দাঁড়িয়ে থাকার পর নবান্নের ভিতরে ঢোকার অনুমতি পান সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা। ৫ মিনিট পরেই বেরিয়ে আসেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমকে জানান, ডিজিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামিকাল আসার জন্য বলা হয়েছে।         



শুক্রবার রাজীব কুমারের গ্রেফতারির উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ওই দিন সন্ধেয় পার্কস্ট্রিটে রাজীবের সরকারি বাসভবনে হানা দেয় সিবিআই। কিন্তু বাড়িতে ছিলেন না রাজীব কুমার। তাঁর স্ত্রীর হাতে ধরানো হয় নোটিস। শনিবার ১০টায় সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল এডিজি সিআইডি-র। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে আসেননি। বিকেলে ইমেল পাঠিয়ে সিবিআই-কে রাজীব জানান, স্ত্রী অসুস্থ। এক মাস পর হাজিরা দেবেন। কিন্তু রাজীবের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সিবিআই। তাঁকে সময় দিতে নারাজ তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজীব কুমারের তরফে সিবিআইয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না করা হলে আর নতুন করে নোটিস দেওয়াও হবে না। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সেই প্রস্তুতিই নেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন- রবিবারের দুপুরে মেয়ো রোডে পর পর ধাক্কা ৩টি বাসের, জখম ২৫ যাত্রী