নিজস্ব প্রতিবেদন : গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন।  সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিলেন রাজীব কুমার। সারদা মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কাজ করছে সিবিআই। শিলঙে জেরা চলাকালীন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সবরকম সহযোগিতা করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং দেখলেই আদালত সেটা বুঝতে পারবে। সূত্রের খবর, এই মর্মেই হলফনামা জমা দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার। পাশাপাশি হলফনামায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। হলফনামার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে সিবিআইকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, শিলঙে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন, কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার। এরপরই সারদা-কাণ্ডের তদন্তে তিনি সহযোগিতা করেননি, তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। এই মর্মে শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিয়ে দাবি করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনে আজ সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা হলফনামা জমা দিলেন রাজীব কুমার। সূত্রের খবর, তাতে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে, শিলঙে পরপর ৫ দিন, ৪০ ঘণ্টা ধরে সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরও আবার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন কোথায়? শিলঙে সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময়, রাজীব কুমার নিজেই ভিডিও রেকর্ডিং করার কথা বলেন। সেই ভিডিও সিবিআই জমা দিলেই, আদালত বুঝতে পারবে, তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাননি।


রাজীব কুমারের দাবি, সারদা-কাণ্ডের বৈদ্যুতিন তথ্যপ্রমাণের ফরেনসিক অডিটের জন্য বিধাননগর থানা-ই সেবিকে অনুরোধ জানায়। কিছু গোপন করার ইচ্ছে থাকলে, তা করা হত কি? তাঁর প্রশ্ন, সারদা-কাণ্ডের বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ থানার মালখানায় জমা ছিল। একজন আইপিএস অফিসারের পক্ষে কি সেখান থেকে তথ্য বিকৃত করা সম্ভব? তদন্তকারী অফিসারদের কথা শুনলেই তো সিবিআই সব জানতে পারবে। যে কুণাল ঘোষের জামিনের বিরোধিতা করেছিল সিবিআই, সেই কুণাল ঘোষের চিঠির ভিত্তিতেই এখন পদক্ষেপ করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন, বক্তব্যের শুরুতেই 'ভুল' বললেন মুখ্যমন্ত্রী! শুধরে দিল জনতা


রাজীব কুমারের প্রশ্ন, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে বলে মনে করলে সিবিআই কেন আগেই নিম্ন আদালতে যায়নি। তাঁর দাবি আদালতে সিবিআইয়ের হলফনামার বয়ান বারবার পাল্টে যাওয়াই প্রমাণ করছে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের খবর, সিবিআই যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাজ করছে, তা বোঝাতে মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ফোনে কথাবার্তার রেকর্ডিং ফাঁস হয়ে যাওয়ার কথাও হলফনামায় বলেছেন রাজীব কুমার। সেই রেকর্ডিংয়ে ৪ আইপিএস অফিসারকে সরানোর কথা বলা হয়। প্রসঙ্গত মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার ১৫ এপ্রিল।