নিজস্ব প্রতিবেদন:  রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদনের মামলার রায়দান আপাতত স্থগিত রাখল জেলা জজ আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



এদিন রাজীবের আগাম জামিনের বিরোধিতা করে জোর সওয়াল করেন সিবিআই-এর আইনজীবী। আদালতকক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি স্পষ্ট জানান, সারদামামলায় তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছেন রাজীব কুমার। তাই তাঁকে গ্রেফতার করতে চায় সিবিআই। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান আধিকারিকরা। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিবিআই আধিকারিকদের হেনস্থার প্রসঙ্গ এদিন আদালতকক্ষে তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “সেদিন রাজীব কুমারের নির্দেশেই সিবিআই আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছিল।”


দেবযানীর বয়ানকে হাতিয়ার করে এদিন সিবিআই-এর আইনজীবী বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন। ইডি-র কাছে দেওয়া দেবযানীর বয়ান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সারদার ক্যাশবুক ও দুটি ডায়েরি সিটকে দেওয়া হয়েছিল। অথচ সিট তা সিবিআইকে এখনও দেয়নি। এই বিষয়টি তুলে ধরেই সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, সিটের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। অর্ণব ঘোষ সহ সব আধিকারিকই তাঁর কথায় কাজ করতেন। রাজীব কুমার তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। কারণ সারদা মামলায় একাধিক প্রভাবশালী যুক্ত। মোবাইল সংস্থার কল ডিটেলসে তা স্পষ্ট। অথচ সিডিআর-এর তথ্য বিকৃত করেছে সিট, দাবি সিবিআই-এর আইনজীবীর। এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর জনস্বার্থ বিবেচ্য, কোনও ব্যক্তি বিশেষের গ্রেফতারি বিবেচ্য নয় বলে আদালতে সওয়াল করেন সিবিআই-এর আইনজীবী।


রাজীবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি কি নিম্ন আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত? ঝুলেই CBI-এর আবেদনের শুনানি


অন্যদিকে, রাজীবের জামিনের পক্ষে পাল্টা সওয়াল করেন রাজীবের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, কীভাবে দুসপ্তাহের মধ্যে রাজীবকে নিয়ে অবস্থান বদল করল সিবিআই? কীভাবে দুসপ্তাহের মধ্যে সাক্ষী থেকে অভিযুক্ত হয়ে যেতে পারেন রাজীব কুমার? তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদীতভাবে রাজীব কুমারকে হেনস্থা করছে সিবিআই।


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রথমে বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান রাজীব কুমার। কিন্তু শুনানি শুরু হতেই বিচারক জানিয়ে দেন, এই আদালত এই মামলা শোনার এক্তিয়ারভুক্ত নয়। এরপর জেলা জজ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীব কুমার। জেলা দায়রা বিচারক মহম্মদ সব্বর রশিদির এজলাসে বেলা দুটোর পর শুরু হয় শুনানি। তবে এদিন সওয়াল জবাবের পর রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক।


অন্যদিকে, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ কি আদৌ এমপি এমএলএ আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত? এই প্রশ্নেই এদিন ঝুলে রইল সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি।