নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা পুরভোটে চওড়া হাসি হাসলেন শোভন জায়া রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন কাননে জয়ী হলেন রত্না। 'রেকর্ড' মার্জিনে জিতলেন তিনি। ব্যবধানের নিরিখে পিছনে ফেলে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে। ২০১৫ সালে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ৬,২০০ ভোটে জিতেছিলেন তিনি। এবার রত্না চ্যাটার্জি সেই 'নম্বর'কে পিছনে ফেলে ১০,২০৬ ভোটে জয় হাসিল করে নিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুরভোটে জয়ের পর স্বভাবতই আপ্লুত রত্না চ্যাটার্জি। জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় রত্না বলেন, "১৩১-এর মানুষ আমাকে বিশ্বাস করেছে। শোভন চট্টোপাধ্য়ায় ৬২০০ ভোটে জিতেছিল ২০১৫-তে। সেখানে আমি ১০, ২০৬ ভোটে জিতেছি। এটা মানুষের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা। মানুষ বিশ্বাস করেছে যে রত্না চ্যাটার্জি ওয়ার্ডে এলে কাজ করবে। বিগত ৪টে বছর তাঁদের পাশে ছিলাম। এই একটা দিন ওনারা আমার পাশে ছিলেন। এই ভালোলাগা একদমই ভিতরের একটা অনুভূতি। আমি ভীষণ খুশি। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড, যেখানে আমার বাড়ি, আমি যেখানে থাকি, তা নিজের দখলে রাখতে পারলাম।"


রাজনীতির ময়দানে রত্না-শোভন-বৈশাখী এই ত্রিকোণ দ্বন্দ্ব সুবিদিত। ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েন দেখা দিতেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের। শেষে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে ২০১৮-তে প্রথমে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। তারপর কলকাতার মেয়র পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর রাজনীতিতে অনেক পালাবদল ঘটেছে। তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। শেষে এখন গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও মতানৈক্যের জেরে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেও দেখা যায় না শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এমনকি প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় পুর নির্বাচনে ভোট দিতেও যাননি তিনি।


আরও পড়ুন, 'তৃণমূলে যেতে চাই', জিতেই Zee ২৪ ঘণ্টাকে বললেন 'নির্দল' পূর্বাশা


লাথি মেরে দরজা ভেঙে গ্রেফতার করেছিল পুলিস, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে BJP-র খাতা খুলল সেই সজল


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App