নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরভোটে আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চলছে জল্পনা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অন্তরালে। সেই শোভনের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পূর্বের দায়িত্ব পেলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। পুরভোটের আগে 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচির দায়িত্ব পেলেন শোভনজায়া।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার বেহালায় তৃণমূলের বৈঠকে ছিলেন দলের কাউন্সিলররা। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,''বেহালা পূর্বের বিধায়ক বসে গিয়েছেন। সেই জায়গায় রত্নাকে দায়িত্ব দিয়েছে দল। বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচির কো-অর্ডিনেট করবেন।'' বিধানসভা ভোট পর্যন্ত কি দায়িত্বে থাকবেন রত্না? সাংবাদিকদের প্রশ্নে এব্যাপারে ভাঙতে চাননি পার্থবাবু।  


শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদানের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজরার সভায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, রত্না চট্টোপাধ্যায়কে কাজে লাগাতে হবে। এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়েছে অনেক জল। বিজেপির সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরের কোনও অনুষ্ঠানেই তাঁকে দেখা যায়নি। ভাইফোঁটায় কালীঘাটে মমতার বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তখন জল্পনা শুরু হয়েছিল, মান ভেঙে সম্ভবত তৃণমূলে ফিরছেন প্রাক্তন মেয়র। কিন্তু তা আর হয়নি। অনেকেই বলছেন, শোভনের অপেক্ষায় না থেকে রণনীতি সাজাতে শুরু করল তৃণমূল। সেই রণনীতির অংশ হিসেবেই ময়দানে নামানো হল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে।         


শোভন এখনও বিজেপির ছাড়েননি। সক্রিয়ভাবে দলের কাজকর্মে নেই। কলকাতা পুরভোটের আগে তাঁকে সক্রিয় করতে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, কলকাতা পুরভোটে কাজে লাগতে পারে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা।  কিন্তু শোভনের অবস্থান নিয়ে দ্বিধায় দিলীপ ঘোষরাও। এমতাবস্থায় শোভনের কেন্দ্রে রত্নাকে দায়িত্ব দিয়ে বিজেপির উপরে চাপ বাড়াল তৃণমূল, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।  


আরও পড়ুন- একধাপে অনেকটা বাড়ল রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মীদের বেতন