নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এই জয় মানুষের জয়'। পুরভোটে 'রেকর্ড' মার্জিনে জেতার পর Zee ২৪ ঘণ্টার 'কলকাতার রায়' অনুষ্ঠান বললেন রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। এমনকী, 'মেয়র' শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) ভূমিকাও অস্বীকার করলেন না তিনি। পাশাপাশি, ব্যক্তিগত জীবনে স্বামীর ভূমিকায় কিন্তু ক্ষোভও উগরে দিলেন রত্না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দু'দশকের দাম্পত্যে ভাঙন ধরেছে। স্ত্রী-সন্তানদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দূরত্ব বেড়েছে দলের সঙ্গেও। একদা মমতার বিশ্বস্ত সৈনিক যে কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন, একুশের বিধানসভা ভোটে সেই বেহালা পূর্বে শোভন-জায়া রত্নাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হতাশ করেননি তিনি। জয়ের সেই ধারা অব্যাহত থাকল পুরভোটেও। বস্তুত, বেহালায় ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতলেন 'রেকর্ড' মার্জিনে, শোভনের থেকেও বেশি ভোটে। 


পুরভোটে জয়ের পর স্বভাবতই আপ্লুত রত্না চ্যাটার্জি।  Zee ২৪ ঘণ্টার 'কলকাতার রায়' অনুষ্ঠানে বললেন, 'এই জয় মানুষের জয়। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ভরসা রেখেছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি দেখেছে, সুবিধা পেয়েছে। তাঁর উপর ভরসা করে দু'হাত ভরে আর্শীবাদ করেছেন'। রত্নার আরও বক্তব্য, 'গত কয়েক বছর ধরে পুরসভার তৃণমূলের দখলে। মেয়ররা যেভাবে কাজ করছে, তার ফলও মানুষ পেয়েছে'।


আরও পড়ুন:  Firhad on Sovon: 'ও বাস্তবের মাটিতে চললে, আমার উপর দায়িত্ব আসত না'


গত পুরভোটে জেতার পর 'প্রিয় কানন'-কেই মেয়রের আসনে বসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু মেয়র পদে নিজের মেয়াদ শেষ করতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনে জেরে সঙ্গে এতটাই দূরত্ব বাড়ে যে, দল ও প্রশাসনের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন। এবার ফের বিপুল ভোটে জিতে 'ছোট লালবাড়ি' নিজেদের দখল রাখল শাসকদলই। আর সেই জয়ের নেপথ্যে শোভনের ভূমিকাও কি উল্লেখ করলেন?  Zee ২৪ ঘণ্টার 'কলকাতার রায়' অনুষ্ঠানে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের স্পষ্ট জবাব, 'একদমই। আমি কখনই অস্বীকার করিনি। আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন যে দায়িত্বে ছিলেন, সেই দায়িত্ব অবহেলা করেছেন, এটা কখন বলিনি। কারণ, তৃণমূল করতেন। সর্বদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর থাকত'।


 



তাহলে কি এই বিপুল জয়ের মধ্যেই কোথাও কি বেদনা অনুভব করছেন? দ্বন্দ্ব চলছে? এবার সুর পাল্টে গেল নিমেষে। রত্না চট্টোপাধ্যায় বলতে শুরু করলেন, 'কার জন্য বেদনা হবে বলুন তো? অবশ্যই স্বামীর পাশে স্ত্রী, স্ত্রীর পাশে স্বামী থাকলে ভালো লাগার জায়গা তৈরি হয়। গত চার বছরে শোভনবাবু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, অপপ্রচার করেছেন। আমাকে নিচু করার চেষ্টা করেছেন। ২২ বছর ওঁর সঙ্গে করেছি। ওঁর সঙ্গে আমার যা সম্পর্ক ছিল, পৃথিবীর কোনও মানুষ বলতে পারবে না, খারাপ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বাড়ির থেকে বেরোবার পর আমাকে কুৎসিত আক্রমণ করেছে। বাড়ির বউকে রাস্তা নামিয়েছেন। আমার আনন্দে কোনও বেদনা নেই'।


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App