`সিরিয়াল কিলার`ই কি শেষ করে দিল বেহালা পর্ণশ্রীর শ্রেষ্ঠার জীবন, উঠছে প্রশ্ন
টিফিন নিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়া। তার থেকে অভিমান। আত্মঘাতী ক্লাস সিক্সের পড়ুয়া। বেহালার একে পাল রোড থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মায়ের অভিযোগ, বান্ধবীর ব্যবহারে আঘাত পেয়েই আত্মঘাতী হয়েছে মেয়ে। আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে পর্ণশ্রী থানার পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: টিফিন নিয়ে বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়া। তার থেকে অভিমান। আত্মঘাতী ক্লাস সিক্সের পড়ুয়া। বেহালার একে পাল রোড থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মায়ের অভিযোগ, বান্ধবীর ব্যবহারে আঘাত পেয়েই আত্মঘাতী হয়েছে মেয়ে। আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে পর্ণশ্রী থানার পুলিস।
তুই এধরনের ব্যবহার করে ভাল করলি না। বাবা-মা, তোমরা ভাল থেকো। দিদি, তোর বিয়ে ভালোভাবে হোক। আমি ওপর থেকে দেখব। -সাদা কাগজে লেখা কটা লাইন। তারপরই, জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলে পড়া। মাত্র দশ বছরেই জীবনে দাঁড়ি টেনে দিল বেহালার শ্রেষ্ঠা দে।
সোমবার সকাল শুরু হয়েছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই। স্কুলে গিয়েছিল শ্রেষ্ঠা। বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়াও সারে। কিন্তু, মেয়ের মনটা যেন কেমন। নজর এড়ায়নি মায়ের। মা বলছেন, বেস্ট ফ্রেন্ডের রূঢ় ব্যবহার মানতে পারেনি শ্রেষ্ঠা। রাতে নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হয় বছর দশেকের মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ। খাটের ওপর পড়েছিল সুইসাইড নোট। তার প্রতি লাইনে বান্ধবীর ওপর অভিমান স্পষ্ট।
মাত্র দশ বছরের মেয়ের মাথায় আত্মহত্যার পরিকল্পনা এল কী করে? দিদি বলছে, টিভিতে ক্রাইম সিরিয়ালের পোকা ছিল শ্রেষ্ঠা। বারণ করলেও শুনত না। আর ঠিক এজায়গাতেই আশঙ্কার মেঘ দেখছেন মনোবিদরা। তাঁদের পরামর্শ সন্তান টিভিতে কী দেখছে তার নজরদারি দরকার।
রাতেই বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রেষ্ঠাকে। চিকিত্সক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। (আরও পড়ুন- নামি কোম্পানির ভুয়ো সিল লাগিয়ে বিক্রি হচ্ছে মিনারেল ওয়াটারের বোতল)