ওয়েব ডেস্ক: বন্দর কর্তা ঘুষ তদন্তে সামনে এলো আরও চাঞ্চল্যকর খবর। গ্রেফতারের পর বাড়ি এবং হোটেলে তল্লাসিতে পাওয়া গেল আরও টাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল বন্দর কর্তা রাজপাল সিং কাঁহালোকে গ্রেফতার করার পরই তাঁর বাড়ি এবং ওই পাঁচ তারা হোটেলে তল্লাসি চালায় পুলিস। বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা এবং হোটেলে তল্লাসি চালিয়ে ১১ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।


২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রাজপাল সিং কাঁহালোকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিস। বুধবার রাতে মধ্যে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে ঘুষ নেওয়ার সময়েই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর সঙ্গী এক বেসরকারি সংস্থার কর্তা জগতাপ দত্তাজিকে। নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যানের গার্ডের কাছ থেকে। সূত্রের খবর, তল্লাসি অভিযানের সময় ছিলেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা এবং কলকাতা পুলিসের এসটিএফের শীর্ষ অফিসারেরা। গত কয়েকদিন ধরেই ধৃতদের ওপর নজর রাখছিলেন দিল্লির সিবিআই অফিসারেরা। কলকাতায় নজর রাখছিলেন এসটিএফ অফিসারেরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে নিউ মার্কেট থানায়।


দুর্নীতির অভিযোগে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন IAS অফিসার। ২০১১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি লোহাচূর দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন আর এস জামির ও দেবাদিত্য চক্রবর্তী। জামির ছিলেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ নিগমের ডিজি। লৌহ আকরিরক কেনার বরাত নিয়ে ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে চার্জশিট দেয় সিআইডি।


এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রবি ইন্দর সিংকে। ২০১০-এর ২৩ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।


শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন নিগমে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরেক IAS অফিসারকে। ২০১৩-র নভেম্বরে গ্রেফতার হন কিরণ কুমার গোদালা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল।


এবার গ্রেফতার হলেন আরও এক IAS অফিসার। ঘুষ নিতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে গেলেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান রাজপাল সিং কাঁহালো। ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।