ওয়েব ডেস্ক: দুর্ঘটনার পর তাকে ফাঁসাতে চেয়েছিল সাম্বিয়া। সেই ভয়েই কলকাতা ছেড়েছিল। এমনই দাবি রেড রোডকাণ্ডে ধৃত শানুর। শানুর এক্সক্লুসিভ জবানবন্দির ভিডিও ফুটেজ ২৪ ঘণ্টার হাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'অডি সাম্বি চালাচ্ছিল। ফরচুনা নিয়ে সাম্বি আমায় নিতে এসেছিল। আমায় আমার বাড়ির সামনে থেকে পিক-আপ করে। ওখান থেকে আমরা যাই দই ঘাটে। সেখানে থেকে ওর বাড়িতে। এরপর সাম্বি অডি গাড়ি বের করে। ফের আমরা সেই একই জায়গায় গেলাম। দই ঘাটে আমরা খুব মদ্যপান করছিলাম। আমাদের সঙ্গে আরও ২-৩জন ছেলে ছিল। আদিল....সঙ্গে আরও ২-৩ গাড়িও ছিল....সুইফ্ট, ফরচুনা আর জনির স্কোডা। সাম্বির খুব নেশা হয়েছিল। আমি বারণ করি। ও আমায় গালাগালি করতে থাকে। আমার রাগ হয়। আমি ওকে ধাক্কা দিই। উল্টে ও আমায় চড় মারে। এরপর আমরা উঠে পড়ি। আমি জনি ভাইকে বললাম যে আমি ওর (সাম্বির) সঙ্গে যাব না। ওকে ওর মত যেতে দাও। আমরা পেছনে থাকি। এই বলে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। আমরা অন্য দিকেই যাচ্ছিলাম, হঠাত্‍ দেখি সাম্বি রেড রোডে ঢুকে পড়ল। ও যখন রেড রোডে ঢুকে গেল তখন অন্যান্য পুলিসকর্মীরা আমাদের আটকে দিল। পুলিসকর্মীদের তো আমাদের চেহারাগুলোও মনে থাকার কথা। পুলিসরা আমাদের বলল: তোমরা যেও না।


আমরা বললাম: ওই গাড়িটা তো ঢুকে গেল? ওকে কেন যেতে দিলেন?
পুলিসরা বলল: ও ঠিক ফেঁসে যাবে।
তখন আমি আর জনি অন্য রাস্তায় খিদিরপুরের দিকে চলে গেলাম। তারপর জনির বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল হতেই ফের সাম্বি হাজির। সকাল ৮টা নাগাদ এসেছিল। দরজায় নক করে ভেতরে ঢুকল। বলছিল, ওর বাবা ওকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছে। আমি বললাম, কেন? তখন ও (সাম্বি) বলল যে ও অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। আমি বললাম কী? ও বলল, হ্যাঁ। আমার গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। বাবাকে আমি তোর নাম বলেছি। আমি তখন বললাম, আমার নাম কেন বলেছিস? আমি তো ছিলাম না! ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। তখন ও বলল যে ওর বাবা ওই ক্যামেরাও সরিয়ে ফেলেছে।
যা বললাম একদম সত্যি বললাম। একটাও মিথ্যে নয়।