আম্বিয়া-সাম্বিয়ার বন্ধু শানু `নিখোঁজ`, রেড রোড হিট অ্যান্ড রান কেসের নয়া ট্যুইস্ট
রেড রোডে বায়ুসেনা কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর খবর। চব্বিশ ঘণ্টার কাছে সাম্বিয়া সোহরাবের বন্ধু শানুর দাদা দাবি করলেন, বুধবার সকালে সাম্বিয়াই দুর্ঘটনা ঘটান। তখন তাঁর ভাই অন্য একটি গাড়িতে ঘটনাস্থলেই ছিলেন। শানুর পরিবারের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: রেড রোডে বায়ুসেনা কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর খবর। চব্বিশ ঘণ্টার কাছে সাম্বিয়া সোহরাবের বন্ধু শানুর দাদা দাবি করলেন, বুধবার সকালে সাম্বিয়াই দুর্ঘটনা ঘটান। তখন তাঁর ভাই অন্য একটি গাড়িতে ঘটনাস্থলেই ছিলেন। শানুর পরিবারের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
রেড রোড হিট অ্যান্ড রান কেসে নয়া ট্যুইস্ট। বড়বাজার থানায় মিসিং ডায়েরি করেছেন শাহনওয়াজ খান ওরফে শানুর বৌদি প্রিয়াঙ্কা খান। সেই ডায়েরির কপি চব্বিশ ঘণ্টার হাতে। বৌদি প্রিয়াঙ্কা খানের দাবি, ১২ জানুয়ারি বিকেল ৩টে নাগাদ শানু ঘর থেকে বেরোন। রাত ১২.২০তে শানু তাঁকে ফোনে বাড়িতে খেতে আসার কথা জানান। যদিও, শেষপর্যন্ত তিনি আসেননি।
১৩ জানুয়ারি সন্ধে ৬.১০-এ শানু তাঁর দাদা খালিদ খানকে ফোন করেন। বেশ খানিকক্ষণ দু-ভায়ের কথা হয় বলে প্রিয়াঙ্কা খান পুলিসকে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, কোলাঘাট থেকে শানু ফোনে তাঁর দাদাকে বলেন, সাম্বিয়া দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। সাম্বিয়ার গাড়িতে নয়, তিনি তখন অন্য গাড়িতে ছিলেন।
শানুর বৌদি মিসিং ডায়েরিতে লিখেছেন, শানু বলে, দুর্ঘটনার সময় অডি গাড়িটি চালাচ্ছিল সাম্বিয়া সোহরাব। শানু দেখে, সাম্বিয়া কনস্টেবলের সঙ্গে বচসা-মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছে। তারপরই, সাম্বিয়া জোরে গাড়ি চালিয়ে দেয়। যার জেরে দুর্ঘটনা ঘটে। শানু জানায়, জনির সঙ্গে সে ছিল অন্য একটা স্কোডা গাড়িতে। ব্যারিকেড দেখে জনি অন্যদিকে গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়।
চব্বিশ ঘণ্টার স্টুডিওয়ে শানুর দাদা খালিদ খানও দাবি করেন, আম্বিয়াকে দুর্ঘটনা ঘটাতে দেখেছেন তাঁর ভাই। যদিও, শানু তখন ছিলেন অন্য গাড়িতে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। শানু দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হলে সিসিটিভি-তে অডি গাড়িটির সঙ্গে তাঁদের স্কোডা গাড়িটির ছবি ধরা পড়ল না কেন?
সাম্বিয়া সোহরাবের সঙ্গে পুলিস কনস্টেবলের বচসা-মারামারির ছবিই বা সিসিটিভি-তে কেন ধরা পড়ল না?
শানু যদি কোনও অপরাধ না করেন তাহলে ঘটনাস্থল থেকে তিনি পালালেন কেন? রেড রোড হিট অ্যান্ড কেসের তদন্তে নেমে পুলিস শাহিদ নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শাহিদ পুলিসকে বলে, বুধবার সন্ধেয় জনির ফোন থেকে সাম্বিয়া তাঁকে ফোন করেন। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিস জেনেছে ওইসময় জনি, সাম্বিয়া ও শানু তিনজনেই কোলাঘাটে ছিলেন। গোয়েন্দারা কোলাঘাটে তল্লাসি চালালেও তাঁরা পালিয়ে যান। দুর্ঘটনার সময়ও তিনজনের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ছিল রেড রোড এলাকায়।