নিজস্ব প্রতিবেদন: বিবাহিত জানার পরও অভিযুক্ত জয়ন্ত হালদারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা। প্রায় প্রত্যেকদিনই জয়ন্তর সঙ্গে দেখা করত। প্রিয়াঙ্কার বাড়িতেও অবাধ যাতায়াত ছিল জয়ন্তর। প্রিয়াঙ্কার বাড়ির প্রত্যেক সদস্যই তাদের সম্পর্কের কথা জানত। কিন্তু সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা জানতে পারে, জয়ন্তর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। আর তারপরই তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। রিজেন্ট পার্কের পশ্চিম আনন্দপল্লিতে কলেজছাত্রী খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শনিবার সকাল আটটা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা পুরকাইত নাম ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করে জয়ন্ত। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপানো হয়। পিসির পাশে শুয়েছিল প্রিয়াঙ্কা। ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্ত তাদের বাড়ির অদূরেই থাকে। প্রিয়াঙ্কার জামাইবাবুর পরিচিত। আর সেই সূত্র থেকেই প্রেম হয় তাদের মধ্যে। জয়ন্ত বিবাহিত, সেকথা জেনেও সম্পর্ক বজায় রাখে প্রিয়াঙ্কা। ঘোরাফেরা, খাওয়াদাওয়া একসঙ্গেই করত জয়ন্ত। পরিবারের দাবি, স্ত্রীয়ের সঙ্গে যে সম্পর্ক ভালো নয়, সেকথাই বারবার প্রিয়াঙ্কাকে বোঝাত জয়ন্ত। কিন্তু সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা জানতে পারে, জয়ন্তর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই নিজের ভুল বুঝতে পেরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায় প্রিয়াঙ্কা। জয়ন্তর সঙ্গে যোগাযোগও কমিয়ে দেয়।


আরও পড়ুন: ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত তরুণীকে গুলি, ঘাড়ের ক্ষত দিয়ে বেরিয়ে এল মাংসপিণ্ড...ভয়ঙ্কর ঘটনা রিজেন্ট পার্কে!
ঘটনার কয়েকদিন আগেই নাকি জয়ন্ত বাড়ি এসে প্রিয়াঙ্কা হুমকি দিয়ে যায়। সম্পর্ক না রাখলে পরিবারের সবাইকে খুন করে দেবে বলে শাসিয়ে যায় প্রিয়াঙ্কাকে, এমনকি তার ফোনও নিয়ে চলে যায়। এরপরই শনিবার সকালে ঘরে ঢুকে খুন করে পালায় সে।
পরিবারের আফসোস, সেসময় থানায় খবর দিলে, আজকে এভাবে খুন হতে হত না প্রিয়াঙ্কাকে!