নিজস্ব প্রতিবেদন : রিজেন্ট পার্ক এলাকায় বিষ খেয়ে গোটা পরিবারের আত্মহত্যার চেষ্টা করার ঘটনায় সামনে এল নতুন তথ্য। আত্মহত্যা করতে যাওয়ার আগে নিকট আত্মীয়কে ফোন করেন ওই পরিবারের ছোট ছেলে। ফোনেই তিনি জানান, 'আমরা সবাই আত্মহত্যা করছি।' এরপরই সেই আত্মীয় পুলিস নিয়ে ছুটে আসেন সোনালি পার্ক আবাসনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার সোনালি পার্ক আবাসনে ২ ছেলেকে নিয়ে থাকেন প্রণতি সিং সোহেল। ১২ বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকে বড় ছেলে দেবেন্দ্র সিং সোহেল (বয়স ৪৫ বছর) ও ছোট ছেলে অতীন্দ্র সিং সোহেল (বয়স ৪০ বছর)-কে নিয়ে ওই বাড়িতেই আছেন ৬০ বছরের প্রৌঢ়া প্রণতি সিং সোহেল। ছোট ছেলে অতীন্দ্র আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাঁর নিজেরও বাঁ পায়ের হাড় ভাঙা। বহু বছর ধরে সেইভাবেই আছেন তিনি। তাই নিয়েই কাজ করে সংসার চালাতেন। বাঁশদ্রোণী বাজারে সিটি গোল্ডের চুরি, হার ইত্যাদি ফেরি করতেন। তা থেকে যা আয় হত, তাই দিয়েই কোনওমতে সংসার চালাচ্ছিলেন প্রণতিদেবী। 


কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। সংসারে টানাটানি দেখা দেয়। অর্থকষ্ট চরমে ওঠে। এরপরই আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রিজেন্ট এস্টেটের বাসিন্দা দূর সম্পর্কের এক দাদাকে ফোন করেন ছোট ছেলে অতীন্দ্র। ফোনেই তিনি জানান, "আমরা সবাই আত্মহত্যা করছি।" ভাইয়ের কাছ থেকে এরকম ফোন পেয়েই পুলিস নিয়ে আবাসনে ছুটে আসেন ওই আত্মীয়। 


পুলিস ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায়, দুই ছেলে বাইরের ঘরের মাটিতে পড়ে আছে। আর মা প্রণতি সিং সোহেল শোওয়ার ঘরে পড়ে আছে। সকলের মুখ থেকেই গ্যাঁজলা বেরচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাম্প করে পেট থেকে বিষ বের করেন চিকিৎসকরা। 


আরও পড়ুন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হৃদযন্ত্র বিকল! মৃত্যুকে জয় করে করোনা রোগীকে ফেরাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ