হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হৃদযন্ত্র বিকল! মৃত্যুকে জয় করে করোনা রোগীকে ফেরাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর হৃদযন্ত্র বিকল হতে বসা করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের শরীরে এনজিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসিয়ে প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকরা। এই রাজ্যে সরকারি পরিকাঠামোয় প্রথম ঘটনা!

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Updated By: Jun 26, 2020, 09:39 AM IST
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হৃদযন্ত্র বিকল! মৃত্যুকে জয় করে করোনা রোগীকে ফেরাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ
ফাইল চিত্র

তন্ময় প্রামাণিক:  বড়সড় সাফল্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর হৃদযন্ত্র বিকল হতে বসা করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের শরীরে এনজিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসিয়ে প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকরা। এই রাজ্যে সরকারি পরিকাঠামোয় প্রথম ঘটনা!

করোনা আক্রান্ত ৬৫বছরের বৃদ্ধের ৯৫ শতাংশ  ব্লক হয়ে যাওয়া আর্টারিতে স্টেন্ট বসাল  কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগ। এই ঘটনা রাজ্য প্রথম কোন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর শরীরে এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে স্টেন্ট বসানো।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কোভিড  হাসপাতাল। গত ১৯জুন ৬৫বছরের ওই বৃদ্ধকে আনা হয় কলকাতা মেডিক্যাল
কলেজ  হাসপাতালে। করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের বুকে তীব্র যন্ত্রণা। অন্য হাসপাতাল ফিরিয়েছে করোনা আক্রান্ত এবং চেস্ট পেইন অ্যাকিউট হওয়ায়।

মেডিক্যাল কলেজের  কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা দেখেন হার্ট অ্যাটাকের পর হার্ট ফেলিওর দিকে যাচ্ছে। হার্ট পাম্পিং ব্যবস্থা সচল রাখতে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু ওষুধের সেভাবে কাজ হচ্ছিল না। চিকিৎসকেরা এনজিওগ্রাম করেন। এনজিওগ্রাম করে দেখেন গুরুত্ব পূর্ণ আর্টারি ৯৫ শতাংশ ব্লকেজ। দ্রুত স্টেন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিন চিকিত্সকেরা।ওই বৃদ্ধের শরীরে এনজিওপ্লাস্টির মাধ্যমে স্টেন্ট বসানো হয়।

আরও পড়ুন: আমফানের ত্রাণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি রুখতে এবার কমিটি গড়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান শান্তনু  গুহর নেতৃত্বে চিকিৎসক অভিক কারক,  বাসবেন্দ্র চৌধুরি এবং মিতা বর এই কাজ করেন।
কলকাতা মেডিক্যাল  কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি বলেন, "অত্যন্ত জটিল করোনা আক্রান্ত রোগীদের এই  হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।  তাঁদের সুস্থ করে বাড়ি ফেরার লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন চিকিৎসকরা।  আমরা সাফল্য পাচ্ছি।"
হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন,  "সম্পূর্ণ কৃতিত্ব কার্ডিওলজি বিভাগের।"

.