ওয়েব ডেস্ক: রাত পোহালেই প্রজাতন্ত্র দিবস। জঙ্গি হানার আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তা দেশজুড়ে। হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে দেশের সবকটি বিমানবন্দরে। স্পেশাল চেকিংয়ের জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত সময় নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।  কী অবস্থা রাজ্যের? দমদম, অণ্ডাল বা বাগডোগরার নিরাপত্তা কতটা আঁটোসাঁটো? সরেজমিনে ২৪ ঘণ্টা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে জঙ্গি নিশানায় দেশের একাধিক বিমানবন্দর। কলকাতা বিমানবন্দরের টার্মিনাল টু-এর প্রবেশদ্বার। হু হু করে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গাড়ি। অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে ২-৩ জন CISF জওয়ান। কিন্তু, আশ্চর্যকাণ্ড। কোনও গাড়িই দাঁড় করিয়ে চেক করছেন না তাঁরা। এবার আমরা ঢুকে পড়লাম বিমাবন্দরের ভিতর। টার্মিনাল টু। একটা সময় এই গেট দিয়েই ভিতরে ঢুকতেন যাত্রীরা। এখন পরিত্যক্ত, সেইসঙ্গে রক্ষীহীনও। যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে বাইক। দু একজন CISF জওয়ান আছেন বটে, কিন্তু ছুটির মুডে। উত্তর থেকে এবার দক্ষিণে। বেহালা ফ্লাইং ক্লাব। দিনে দুটি হেলিকপ্টার ওড়ে এখান থেকে।  অথচ, রানওয়ে পর্যন্ত পৌছনোর গেট একেবারে খোলা। উদাসীন নিরাপত্তা রক্ষী। কলকাতা ছাড়িয়ে এবার নজর ঘোরানো যাক জেলার দিকে।


উত্তর-পূর্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। বড়বড় করে লেখা দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। অথচ, বিমানবন্দরে  ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছেন অতিথিরা। পার্কিং লটে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে গাড়ি। কোনওরকম নজরদারি ছাড়াই। শিগগিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পেতে চলেছে অণ্ডাল। অথচ,প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে আমরা অনায়াসে ঢুকে পড়লাম বিমানবন্দরের একেবারে ভিতরে। পাঁচটি গেটের একটিতেও নেই কোনও রক্ষী। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন ঠিক এতটাই ঢিলেঢালা রাজ্যের বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তার হাল। সতর্কতা যদি বাস্তব হয়ে যায় ? কী হবে? সামাল দেওয়া যাবে তো পাঠানকোটের মতো পরিস্থিতি?