নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাক্তন পুলিশ কর্তার অস্বাভাবিক মৃত্যু। সল্টলেকে এফডি ব্লকে তাঁর বাড়ি থেকেই  উদ্ধার হয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিস কর্তা গৌরব দত্তের দেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। জানা গিয়েছে যেই সময় দেহটি উদ্ধার হয়, সেই সময় ঘরে কেউ ছিল না। ঘরের দরজাও বন্ধ ছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গৌরবের স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। দেহরক্ষীও ছিলেন না। দেহরক্ষী সন্ধ্যাবেলায় এসে দেখেন দরজা বন্ধ।  অনেক ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাঁর। তখন প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি।  এরপরই দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করা হয় গৌরব দত্তকে। হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হলে গৌরব দত্তকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।


আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টে আজ ফের রাজীব কুমারদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি


পুলিশ সূত্রের খবর, গৌরব দত্তের বাম হাতে কাটা চিহ্নের দাগ রয়েছে। হাতের শিরা কেটেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন কিনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাস্থলে আসে ফরেন্সিক টিম। আসেন পুলিশের কর্তারাও । অবসর নেওয়ার আগে আইজি পদে ছিলেন গৌরব দত্ত।


গৌরব দত্তের স্ত্রী শ্রেয়সী  জানিয়েছেন, প্রাক্তন পুলিস কর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা চলছিল।  ফলে পেনশনে যথেষ্ট প্রভাব পড়ছিল। তিনি ওই মামলার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নন বলে বার বার জানিয়েছিলেন ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে। কিন্ত প্রশাসনের কাছে বার বার আর্জি জানিয়েও ব্যর্থ হন তিনি। আর তাই মৃত্যু-ই শেষ উপায় বলে তাঁর মনে হয়। এরপর কেউ টাকা আটকে রাখতে পারবে না ভেবেই সুইসাইড করেন তিনি। সুইসাইড নোটে এমনটাই লিখে গিয়েছেন গৌরব দত্ত।


আরও পড়ুন, বিজেপি নয়, গুলি চালিয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, বললেন বজবজের গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলর


১৯৮৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার  ছিলেন গৌরব দত্ত। ১৯৯৯ সালে মেদিনীপুরে সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের সময় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সেইসময় মেদিনীপুরেই পোস্টিং ছিল গৌরব দত্তের। বিতর্কে জড়ানোর পর তত্কালীন বাম সরকার তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠায়। এরপর ২০১০ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল হিউমান রাইটস কমিশনের সুপারিশে এক কনস্টেবলকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে আইজি (প্ল্যানিং) গৌরব দত্তকে বরখাস্ত করা হয়।