পিয়ালি মিত্র: ৪ নভেম্বর চার্জ ফ্রেম হয় আরজিকরে খুন ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে। গত তিনমাসে বারবার আদালতে আসলেও সংবাদমাধ্যমকে দেখে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল যে সঞ্জয়, সেদিন হঠাৎ প্রিজনভ্যান থেকে চিৎকার করে বলে, "আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট-সরকার সব জানে।" ঠিক তার একসপ্তাহ পর আরও বেপরোয়া হুঙ্কার সঞ্জয়ের সেই প্রিজন ভ্যানে থেকে। তাৎপর্যপূর্ণ বিচার শুরু দিনেই  আঙুল উঁচিয়ে সে নাম নেয় প্রাক্তন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল থেকে ডিসি ডিডি স্পেশালের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, ED Raid: নারী পাচার, দেহব্যবসা, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার! দেশের ১২ জায়গায় ইডির হানা...


তাঁর দাবি, ওই পুলিস কর্তারাই ফাঁসিয়েছে তাঁকে। মঙ্গলবার বিচারপর্বের দ্বিতীয় দিন। এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে আরজিকরের দুই জুনিযার ডাক্তারের। ফলে বিচার শুরু আগে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি সংশোধনগার থেকে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয় শিয়ালদহ আদালতে। তবে এদিন প্রিজন ভ্যানে নয়। অন্য একটি গাড়িতে করে আদালতে আনা হয় তাঁকে। প্রতিদিনই অবশ্য নিরাপত্তাজনতি কারণে প্রিজন ভ্যান এসকর্ট করে আনা হয় আদালতে। এদিন আরও কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়কে।


পুলিস কর্তাদের নাম নিতেই কি এই বদল? যদিও পুলিস কর্তাদের ব্যাখা, হাইপ্রোফাইল মামলায় নিরাপত্তায় বিয়ষে মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে বিচার শুরুর হতেই কেন হঠাৎ আদালতে বাইরে সরব হচ্ছে সঞ্জয়? যদিও তাঁকে ফাঁসানো হয়ে থাকে, তাহলে সিবিআই হেফাজত থাকাকালীন কেন সে কথা বলেননি? কারণ যদিও কেউ তাঁকে ফাঁসিয়ে থাকত সিবিআই চার্জশিটে সে বিষয়ে উল্লেখ থাকত। বরং সিবিআই চার্জশিটে কার্যত কলকাতা পুলিসের তদন্তের ছাপ উঠে এসেছে।


নিহতের ছাত্রীর শরীর থেকে সংগ্রহ সোয়াবে মিলেছে সঞ্জয়ের লালারস। সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবের ডিএনএ রিপোর্ট তা নিশ্চিত করেছে, এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্বার চুলও সন্জয়ের তারও প্রমাণ মিলেছে ডিএনএ রিপোর্টে। সঞ্জয়ের জুতো, প্যান্টে মেলার রক্তের দাগ যে নিহত ছাত্রীর তাও নিশ্চিত হয়েছে বৈবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে। যে রিপোর্ট পুনরায় যাচাই করেছে চন্ডীগড়, দিল্লির মেডিকেল এক্সপার্টরা। খোদ সিবিআই তাদের চার্জশিটে উল্লেখ করেছে একথা। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ থেকে এই ঘটনায় যে সঞ্জয় জড়িত তা সিবিআই নিশ্চিত হওয়ার পরই সিবিআই তার বিরুদ্ধে চার্জশিটে দেয়।


এমনকী, সে রাতে সঞ্জয় যে ওই হাসপাতালে রাত তিনটের সময় হাসপাতালে যায় মদ্যপান করে সেটাও নিশ্চিত হয়েছে তাঁর বন্ধু, অপর সিভিক ভলান্টিয়ারের বয়ানে। ফলে বিচার শুরু হতেই তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতেই কী সঞ্জয়ের এই নয়া কৌশল উঠছে প্রশ্ন। তবে আইনজীবীদের মতে, সঞ্জয় আদালতে যাই দাবি করে থাকুক না কেন, আদালতে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সঞ্জয় যদি নির্দোষ হয়ে থাকে তবে সিবিআইয়ের পেশ করা তথ্য প্রমাণকে খন্ডন করতে তার সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ দিতে হবে সঞ্জয়ের আইনজীবীকে।



আরও পড়ুন, Sanjay Roy | R G Kar Incident: 'আমি কিছু করিনি, বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে...'


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)