ওয়েব ডেস্ক: দল তাঁকে শোধরাতে চেয়েছিল। কিন্তু ঋতব্রত কি শোধরালেন? ফেসবুকে কাণ্ডে রাজ্য কমিটিতে ভত্‍সিত সিপিএমের তরুণ তুর্কি। তারপরও ফেসবুকে ACTIVE তরুণ সাংসদ। ঋতব্রত ও তাঁর অনুগামীদের পর পর পোস্ট কার্যত সিপিএমের অনুশাসনকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল। ফেসবুক কাণ্ডে প্রকাশ্যে ভর্ত্‍সনা। বিরক্ত বুদ্ধদেব-সীতারাম-সূর্যকান্তরা। কিন্তু তাতে কি-ই বা যায় আসে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফেসবুকে ফের ACTIVE ঋতব্রত
বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর রাতেই ফেসবুকে আবার অ্যাকটিভ ঋতব্রত। পোস্ট করেন একটি ঐতিহাসিক ছবি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর স্টালিনের বিখ্যাত ছবি। 
হঠাত্‍ কেন এই ছবি পোস্ট করতে গেলেন ঋতব্রত? তিনিও কী যুদ্ধ জয় করে ফিরলেন নাকি? এই প্রশ্নের মাঝেই ফেসবুকে ঋতবন্দনা।


চক্রান্তের অভিযোগ
এবার ফেসবুকে এক ঋতব্রত অনুগামীর পোস্ট, ঋতদা, আমরা যারা তোমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানি, তারা খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। তারপরে বুঝলাম যে চক্রান্ত চলছে। প্রচুর জায়গা থেকে তোমার ব্যাপারে লিঙ্ক পাঠাচ্ছিল না। এটা কেন্দ্রীয় চক্রান্ত।পোস্টের বক্তব্য যে তাঁর পছন্দ হয়েছে, তখনই বুঝিয়ে দেন ঋতব্রত। পাঠান DOUBLE SMILY। 


'ময়দানেই আছি'
এরপরই ফেসবুকে ঋতব্রতর বার্তা, মাঠেই আছি ব্রাদার। মাঠেই থাকব।


আরেক ঋতব্রত অনুগামী লেখেন, ঋত, পার্টির তোমার মত তরুণ তুর্কিদের দরকার। হাজার হাজার তরুণ তোমাকে তাঁদের আদর্শ ভাবে। জবাবে একটি মুষ্টিবদ্ধ হাতের ছবি পোস্ট করেন ঋতব্রত। সোশাল মিডিয়ায় দলীয় কর্মীদের আচরণবিধি স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। দুঘণ্টাও কাটল না। যে শৃঙ্খলা নিয়ে একসময় গর্ব করত সিপিএম, ফেসবুক WALL-এ সেই গর্ব রীতিমত ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। ঋত অনুগামীদের যুক্তি, তরুণ সাংসদ তো কিছু বলেননি, শুধু লাইক করেছেন। পাল্টা যুক্তি, পোস্টে কেন্দ্রীয় চক্রান্তের কথা বলা হচ্ছে। নাম না করে সিপিএমের নেতাদের যুক্ত করা হচ্ছে। তাতেও SMILY? গোটা ঘটনায় রাজ্য কমিটির নেতারা অত্যন্ত বিরক্ত।  সিপিএমের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রকাশ্যে ভর্ত্‍সনা বড় শাস্তি। তাকে কেন ঋতব্রত যুদ্ধজয় বলে মনে করলেন, তার জবাব মেলেনি।