Mamata Banerjee: `ইউক্রেন থেকে পড়ুয়াদের আগে ফেরালে খাবার খুঁজতে বেরিয়ে কারও জীবন চলে যেত না`
মমতা বলেন, কেন্দ্রে যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে এটা তার দায়িত্ব। সেখানে গিয়ে আবার ভাষণ দেওয়া হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ধীরে ধীরে ফেরত আনা হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবারই রোমানিয়ায় পৌঁছছে বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান। তার মধ্যেই আজ ফের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। চন্দন জিন্দাল নামে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার বাড়ি পঞ্জাবের বার্নালা। গতকাল খাবার আনতে বেরিয়ে রুশ গোলায় নিহত হন কর্ণাটকের বাসিন্দা নবীন শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌদার। এরকম পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সপা-র প্রচারে বুধবার কলকাতা থেকে বারাণসীর উদ্দেশ্য উড়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। ইউক্রেন প্রসঙ্গ উঠতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তিন চার মাস আগেই প্রধানমন্ত্রী সবটাই জানতেন। সাংবাদমাধ্যম থেকে এমনটাই জেনেছি। এরকম একটা যুদ্ধের প্লান আগে থেকেই হচ্ছে। তা যদি হয় তাহলে আগে থেকেই পড়ুয়াদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হল না কেন? তাহলে তো ছেলেমেয়েগুলো বাঙ্কারে শুয়ে কাঁদত না! রেমানিয়ার বার্ডারেও ওদের দাঁড়িয়ে থাকতে হত না। খাবার খুঁজতে গিয়ে কারও জীবনও চলে যেত না।
ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন অধীর চৌধুরীও। গতকাল তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্তর প্রদেশ ভোটের প্রচারই বড় হল! অনেক আগেই পড়ুয়াদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে আনা যেত।
বুধবার এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, কেন্দ্রে যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে এটা তার দায়িত্ব। সেখানে গিয়ে আবার ভাষণ দেওয়া হচ্ছে। দেখলাম অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী ওখানে ভাষণ দিচ্ছেন। এটা শোভা পায় না। বাংলার যারা দিল্লিতে এসেছেন তাদের কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করছি। আমি যুদ্ধের পক্ষে নই। শান্তির পক্ষে। কোনও দেশের বিরুদ্ধে নই। একটা যুদ্ধ হয়ে গেল। গত দুবছরে কোভিড যুদ্ধে মানুষকে শেষ করে দিয়েছে। আবার যদি একটা যুদ্ধ হয় তাহলে তার দাম চোকাতে হবে সাধারণ মানুষকে। অনেক যুদ্ধ আমরা দেখেছি। আর কত যুদ্ধ মানুষ দেখবে? ভারতের ক্ষমতা রয়েছে। কথাবার্তার মাধ্যমে সাবাইকে শান্তির রাস্তায় ফেরাতে পারে ভারত।
আরও পড়ুন-'ত্রিশঙ্কু' ঝালদায় তৃণমূলে নাম লেখাল এক নির্দল