নিজস্ব প্রতিবেদন : বিদ্যুতকর্মীদের বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে সোজা বিদ্যুত ভবনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে কোনও 'ভুল' করেননি তিনি। বরং স্পষ্ট জানালেন, আন্দোলনের এপথে তিনি হেঁটেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করেই। তিনি বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র। অথচ আজ তাঁকে বাদ দিয়েই কাউন্সিলরদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডেকেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হতে পারে বলে তুঙ্গে জল্পনা। যদিও তাতে কর্ণপাত না করে নিজের অবস্থানে অটল সব্যসাচী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিদ্যুত ভবনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো, আন্দোলন করা এই নিয়ে সব্যসাচী দত্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সোজাসুজি বলেন, "আজকে যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর দেখানো পথেই আমরা হেঁটেছি।" উদাহরণ দিতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রীর সিঙ্গুর আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, "কৃষকদের স্বার্থে ছিল সেই আন্দোলন। তিনিই বলেছেন মানুষের পাশে থাকতে। তাই তাঁর কথা মতোই কাজ করেছি।" প্রসঙ্গত, শুক্রবার আইএনটিটিইউসি-র বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবন। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত।


বিধায়ক তথা মেয়রের নেতৃত্বে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা সব্যসাচী দত্তের নেতৃত্বে বিদ্যুত ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালান। ভবনের ভিতর মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সব্যসাচী দত্ত বিদ্যুৎ দফতর কর্তৃপক্ষকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন। কর্মচারীদের যেসব আর্থিক দাবিদাওয়া বাকি রয়েছে, তা পূরণ না হলে ১৫ অগস্টের পরে দফতর ‘স্বাধীন’ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। নাম না করে সমালোচনা করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়েরও।


আরও পড়ুন, প্রেশার, ব্লাড সুগার, কার্বোঙ্কল নিয়ে এসএসকেএম-এ ভর্তি অনুব্রত মণ্ডল


দলীয় সূত্রে খবর, সব্যসাচীর এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয় নেতৃত্ব। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দলের তরফে সব্যসাচীকে অসন্তোষের কথা জানানোও হয়। এরপরই রবিবার বিধাননগরের কাউন্সিলরদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকার কথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম।