নিজস্ব প্রতিবেদন : সমন্বয়ের ভীষণ অভাব। কাজ করতে অসুবিধা। মূলত এই দুটি কারণ দেখিয়েই বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। তবে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলেও, এখনই তৃণমূলের সদস্যপদ ছাড়ছেন না তিনি। কিন্তু তৃণমূলের সদস্যপদ না ছাড়লেও, ইস্তফা ঘোষণার সময় সরাসরি ক্ষোভ উগরে দিলেন দলনেত্রীর বিরুদ্ধে। কাজে অসুবিধা, সমন্বয়ের অভাব প্রতিটি অভিযোগে উদাহরণ তুলে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সব্যসাচী দত্ত তোপ দাগেন, ২০১৫-র ১৬ অক্টোবর বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই 'সিরিজ অফ বেআইনি কাজ' দেখে আসছেন তিনি। তা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরকে জানিয়েওছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। বলেন, "সিরিজ অফ বেআইনি কাজের জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী থেকে নিয়ে (যেহেতু তিনি ভূমি ও ভূমি-রাজস্ব দফতরের মন্ত্রী) বিধাননগর পুলিস কমিশনার, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক, ফায়ার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, ফিশারিজ সকলকে জানিয়েছি।"


এরপরই এই প্রসঙ্গে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬২ কাঠা জলা পুনরুদ্ধারকে 'রেকর্ড' হিসেবে উল্লেখ করেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। সাংবাদিক বৈঠকে সব্যসাচী বলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে থাকা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে জানাচ্ছে, এটাকে কনভার্ট করে বাস্তু করে দেওয়া হয়েছে। আর এদিকে ফিশারি বলছে এটা জলা। তাহলে কী বুঝব?" তিনি জানান, এরপর রাজ্য সরকারের দুই দফতরের চিঠি একযোগে মুখ্য সচিবের কাছে পাঠান তিনি। তারপর উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক তাঁকে সুনির্দিষ্ট করে জানান, "না, এটা জলা।" এরপর তিনি সক্ষম হন বেআইনি ভরাটের হাত থেকে ওই জলা উদ্ধার করতে।


আরও পড়ুন, টলিপাড়ায় ভাঙন, পার্নো মিত্র, ঋষি, কাঞ্চনা-সহ একঝাঁক তারকার যোগ দিলেন বিজেপিতে


শুধু বিদ্যুতভবনের কর্মীদের বকেয়া আদায়ের জন্য আন্দোলন নয়, ভবিষ্যতেও শ্রমজীবী, কৃষিজীবী মানুষের পাশে তিনি সবসময় থাকবেন বলে এদিন স্পষ্ট জানান সব্যসাচী। এরজন্য দলের সঙ্গে মতবিরোধ হলেও, কখনও তাঁদের পাশ থেকে তিনি সরতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন সব্যসাচী দত্ত। বলেন, "আমি বলতে পারব না, আমি অনন্ত পারলাম না। আমার এতটা শিরদাঁড়া বেঁকা হয়নি।"