নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে এখনও বিধাননগরের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হলেন প্রাক্তন মেয়র। আর সবাইকে অবাক করে সব্যসাচীর কাছে সমস্যা জানতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে মুকুল রায়ের সঙ্গে লুচি-আলুর দম পর্ব নিয়ে সব্যসাচীর সঙ্গে দলের দূরত্বের সূত্রপাত। তারপর থেকে একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সব্যসাচী। অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। সিরিয়া, পাকিস্তানের মতো অবস্থা। মেয়রের পদও খুঁইয়েছেন। সেই সব্যসাচীই হাজির হলেন দলের উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠক। নাম ধরে ধরে বিধায়কদের কাছ থেকে সমস্যা জানতে চান মমতা। এরপরই সকলকে বিস্মিত করে মমতা বললেন, 'কী সব্যসাচী, কিছু বলার আছে'।



সব্যসাচী উঠে দাঁড়িয়ে জবাব দেন, দিদি আমার চাওয়ার কিছু নেই। বিভিন্ন দফতরের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নেই। মৎস্য দফতর বলছে, জলাশয়। সেটাই আবার বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জলা জমি ভরাট যাতে না করা হয়, সেটা দেখা দরকার। বারাসতে যশোর রোডের পাশে জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে। 


মমতা তখন বলেন,'তুইও তো মেয়র ছিলিস। চোখের সামনে দেখিস, কিছু বলিস না। তোর বিধানসভাতে কিছু আছে কিনা বল'। 


সব্যসাচী তখন বলেন, 'ডিএম ম্যাডামকে অনুরোধ করব ভূমি সংস্কার দফতরের রেকর্ড ও মৎস্য দফতরের রেকর্ড সরবরাহ করুন'। 


আরে ওয়েবসাইটে তথ্য থাকে তো। দলের বিধায়ককে স্মরণ করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক আধিকারিক উঠে দাঁড়িয়ে জানান, জমির তথ্য ল্যান্ডের ডিটেলস পেতে পারেন অ্যাপে। জমির তথ্য ডাউনলোড করলে পেয়ে যাবেন সমস্ত তথ্য। 


সব্যসাচী দত্ত তখন বলেন,'আমাদের রাজারহাট-নিউটাউন ২৩টা ভেড়ি ও ঝিল রয়েছে। প্রচুর মাছ ছাড়া হচ্ছে। অথচ কোনও রেকর্ড নেই। খুব অসুবিধা হয়'। 


আরও পড়ুন- 'সব দেওয়া সম্ভব নয়', ডিএ মামলার রায়ের পর মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক সভায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী