রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সিরিয়া, পাকিস্তানে রয়েছি: সব্যসাচী দত্ত
বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট নিয়ে মঙ্গলবার গোটা দিন পরতে পরতে ছিল নাটকে ভরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সিরিয়া, পাকিস্তান, লেবাননে রয়েছি। বনগাঁ পুরসভা প্রসঙ্গে এভাবেই শাসক দলকে বিঁধলেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত।
এদিনই বনগাঁ পুরসভা নিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, বনগাঁ পুরসভায় যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুগামীরাই দায়ী। পুলিস সব দেখেই কিছু করেনি। সন্ধেয় সব্যসাচী দত্ত বলেন, 'রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সিরিয়া, পাকিস্তান, লেবাননে বসে আছি। নৈরাজ্য চলছে'।
বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট নিয়ে মঙ্গলবার গোটা দিন পরতে পরতে ছিল নাটকে ভরা। ২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ৯ জন ও ১ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। বেলা ৩টেয় তৃণমূলের প্রত্যেকেই ভোটকক্ষে উপস্থিত ছিলেন। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, বিজেপি কাউন্সিলরদের জন্য বেলা ৩.১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন এক্সিকিউটিভ অফিসার। কিন্তু তার মধ্যে বিজেপির কেউই সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি। সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, কোরাম এক তৃতীয়াংশ সদস্য থাকলেই আস্থা ভোট হতে পারে। বেলা সাড়ে তিনটের পর বিজেপির বিধায়করা পুরভবনে ঢোকেন বলে দাবি তৃণমূলের। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের ৯ জন কাউন্সিলরকে পুরভবনে তালাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বাকি ২ জনকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।
পরে পুরভবনে ঢুকে এক্সিকিউটিভ অফিসারের সামনে বসে অনাস্থা প্রস্তাবে পক্ষে সই করেন। এরপর বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস ঘোষণা করেন পুরবোর্ড বিজেপির দখলে। তৃণমূল ও বিজেপির দাবি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। পুরবোর্ড আদৌ কার দখলে, তা জানতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।
আরও পড়ুন- আইনের এ বি সি ডি জানেন না, হাইকোর্টের এজলাসে বিচারপতিকে আক্রমণ কল্যাণের