নিজস্ব প্রতিবেদন: দল বদলের জল্পনার মধ্যেই এবার আরও চাপ বাড়ল বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের ওপরে। এবার তাঁকে আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন তাঁর দলেরই কাউন্সিলার সুভাষ বোস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গরুর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ! যোগীর রাজ্যে বরখাস্ত ৮ সরকারি কর্তা


কেন এই নোটিস? সুভাষ বোসের অভিযোগ, সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র সব্যসাচী দত্ত দাবি করেন, কাউন্সিলার সুভাষ বোস ও তাঁর স্ত্রী এলাকায় বেশ কিছু বেআইনি প্রমোটিংয়ের সঙ্গে জড়িত। সেই মন্তব্যের ভিত্তিতেই ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে। সব্যসাচীর ওই মন্তব্যের ফলে তাঁর মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুভাষ দত্ত। মন্তব্যে জন্য ৩ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়া না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



এদিকে, মেয়র পদ নিয়ে বেশ চাপেই রয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে তৃণমূল। আগামী ১৮ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাবের ওপরে ভোটাভুটি হবে। এখন মেয়রপদ ধরে রাখতে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত দৌড়েছেন সব্যসাচী।


আরও পড়ুন-শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্যে তুলকালাম গড়ফা


শুক্রবার সকালে হাইকোর্টে হাজির হন সব্যসাচী দত্ত। তখনই শুরু হয় জল্পনা। সব্যসাচী দত্ত নিজেই জানান আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন। এরপরই মামলা দায়ের করেন তিনি। যদিও মামলায় বিষয়বস্তু স্পষ্ট করেননি সব্যসাচী। সূত্রের খবর,  অনাস্থা প্রস্তাবে কাউন্সিলরদের সই রয়েছে। কিন্তু কেন সই করেছেন তাঁরা, তার উল্লেখ নেই। এছাড়াও আইনি বেশ কয়েকটি গলদ রয়েছে বলে দাবি সব্যসাচীর। ওই প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।


গত রবিবার যখন সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বৈঠকের সময় ছিলেন আইনজীবীরা। বিধাননগর পুরনিগমের জট কাটাতে আইনি দিকটি খতিয়ে দেখছে তৃণমূল কংগ্রেসও। ফলে বিধাননগর পুরনিগমের জট আরও বাড়তে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।