Sajal-র হয়ে আদালতে সওয়াল অন্তত ৫০ আইনজীবীর, তা-ও ২ দিনের পুলিস হেফাজতেই BJP নেতা
সরকারি আইনজীবীর আবেদনে সাড়া দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক। দু`দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সজলকে (Sajal Ghosh) ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আদালতে তাঁর হয়ে সওয়াল করতে দাঁড়িয়েছিলেন কমপক্ষে ৫০ আইনজীবী। তা সত্ত্বেও জামিন হল না সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) বিজেপি নেতাকে দু'দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। শর্তসাপেক্ষে জামিন চেয়েছিলেন সজলের আইনজীবীরা। সাড়া দেননি বিচারক।
শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ সজলকে (Sajal Ghosh) আনা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন সজলের স্ত্রী ও পরিজনরা। শুনানি শুরু হয় দুপুর ৩টে নাগাদ। এ দিন অন্তত ৫০ জন আইনজীবী সজলের হয়ে সওয়াল করেন। দরজা ভাঙার ভিডিয়ো তুলে ধরে তাঁর আইনজীবীদের বক্তব্য,'বিরোধী রাজনৈতিক দল করার জন্য রাজনৈতিক বসদের খুশি করতে গ্রেফতার করেছে পুলিস। গ্রেফতারির ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে সজল ঘোষ থানায় গিয়েছিলেন। থানার সিসিটিভি দেখলেই প্রমাণ হবে। হেঁটে বাড়ি ফেরেন। তখন তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল না?' দরজা ভাঙা নিয়ে সরকারি আইনজীবী ব্যাখ্যা দেন, যে পদ্ধতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কিন্তু ওঁকে বারবার দরজা খুলতে বলা হয়েছিল। তাও খোলেননি। এমন পরিস্থিতিতে আইনে দরজা ভেঙে গ্রেফতারের আইনি অধিকার রয়েছে পুলিসের।
সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) পারিবারিক ব্যবসার কথা তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীরা। তাঁরা জানান,'বাইকে করে দোকানে ভাঙচুর করেছে বলে পুলিস। ২৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগও করেছে। যাঁর সোনার দোকান, হাসপাতাল ব্যবসা রয়েছে তিনি সামান্য টাকা চুরি করবেন?' পুলিস পরবর্তীকালে অভিযোগ জুড়েছে বলেও বলেন আইনজীবীরা। দাবি করেন,'পুলিস বলছে দোকানে ঢুকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে দেন। কিন্তু তা আগে উল্লেখ ছিল না। নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। তাঁদের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব রয়েছে। কেন দরজা ভেঙে এই ভাবে গ্রেফতারির প্রয়োজন পড়ল?' শর্তসাপেক্ষে জামিনের আবেদন করেন সজলের আইনজীবীরা।
জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। তাঁর কথায়,'কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দোকানের কর্মীকে মারধর করেন সজল ঘোষ। তারপর দোকানের লকার ভেঙে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান। তাঁদের কাছে অস্ত্র ছিল। ওই অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা দরকার। সেজন্য সজলকে জেরা করতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তের আইনজীবীরাও বলেছেন তিনি কতটা প্রভাবশালী। ফলে তাঁকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।' ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হোক। সরকারি আইনজীবীর আবেদনে সাড়া দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক। দু'দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সজলকে।
আরও পড়ুন- Muchipara:''কোনওদিন এমন ঘটনার সাক্ষী হইনি'', আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে বললেন সজল