নিজস্ব প্রতিবেদন:  সল্টলেকের রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া। ঘটনাকে ঘিরে  পরতে পরতে রহস্য।   প্রতিবেশীর দাবি, দিন দশ-বারো আগে ওই বাড়ির ভিতরে গুলির শব্দ শুনেছিলেন । বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে টানানো চিরকুট ঘিরেও রয়েছে ধোঁয়াশা। আপাতত  সল্টলেকের বিই ব্লকের ২২০ নম্বর বাড়ির ছেলে মৈত্রেয় ভট্টাচার্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সল্টলেকে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া, মায়ের পচাগলা দেহ আগলে বসে ছেলে


প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে সল্টলেকের বিই ব্লকের ২২০ নম্বর বাড়ি থেকে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। রবিবার প্রবল কূটগন্ধ বেরোতে থাকে। প্রতিবেশীরা সোমবার সকালে থানায় খবর দেন। এদিন সকালে ২২০ নম্বর বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকলে দেখা যায়, পেশায় স্কুল শিক্ষিকা মা কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের পচাগলা দেহ আগলে বসে ছিল তাঁর একমাত্র ছেলে মৈত্রেয়। তাঁর মায়ের মৃত্যু হল কীভাবে, তা ঘিরেই বাড়ছে রহস্য।  মৈত্রেয়ের দাবি, প্রদীপের আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর মায়ের। যদিও তার সত্যতা নিয়ে সন্ধিহান পুলিস।


আরও পড়ুন-যৌন চাহিদা মেটাতে অস্বীকার, ১০ বছরের বালককে খুন করে ফেলল কিশোর


মৈত্রেয়ের  বাবা গোঁরাচাঁদ ভট্টাচার্য এসএসকেএমের চিকিত্সক ছিলেন। বছর পাঁচেক আগে তাঁরও মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ছেলে ও মা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না মৈত্রেয়। নিজের নানা ছুতোয় তাঁদের সঙ্গে ঝগড়া করতেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের। বাড়ি থেকেও খুব একটা বেরোতেন না তিনি।



এই বাড়ির ভিতরে ঢুকলে প্রতিটি দেওয়ালে কিছু নথি সাঁটানো দেখা গিয়েছে। যা ঘিরে বাড়ছে রহস্য। বাড়ির দেওয়ালে একাধিক ব্যাঙ্কের নথি সাঁটানো রয়েছে। রয়েছে মানিকতলা সিভিক সেন্টার ব্রাঞ্চের নাম। সেই সূত্র ধরে মৈত্রেয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  বাড়ির দেওয়ালে রেশনকার্ড, ভোটার কার্ড সহ বিভিন্ন নথি সাঁটানো রয়েছে।



 বাবার মৃত্যুর পর তাঁর পেনশনের টাকায় সংসার চলত। সেক্ষেত্রে কে ব্যাঙ্কের কাজ সামলাতো? ব্যাঙ্কের নথিতে কে স্বাক্ষর  করত? ওই ব্রাঞ্চের সঙ্গে  কথা বলবে পুলিশ।