জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে দেরিতে এফআইআর করা, প্রমাণপত্র লোপাট করার চেষ্টার অভিযোগ উঠছে  টালা থানার ওসি অভিতিত্ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডে খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। আজ ওই মামলার শুনানিতে সন্দীপ ও অভিজিত্কে ৩ দিনের হেফাজতে চাইল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করলেন শিয়ালদহ আদালের বিচারক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও  পড়ুন-'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা', ৩ দিনের CBI হেফাজতে সন্দীপ-অভিজিত্‍!


আদালতে আজ সিবিআই জানায় টালা থানা থেকে সিসিটিভি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  এনিয়ে তদন্তের জন্য অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। ওসির মোবাইল বাজেযাপ্ত করা হয়েছে, কল লিস্ট জোগাড় করা হয়েছে হেফাজতে থাকাকালীন বেশকিছু মোবাইল নম্বর নজরে এসেছে। দুই অভিযুক্ত হেফাজতে থাকাকালীন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছে। আরও ৩ জন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।


সিবিআইয়ের ওই কথা শুনে বিপক্ষের আইনজীবী বলেন, একজনের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। উনি ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার নিজের ডিউটি করেছেন।


উল্লেখ্য, টালা থানার ওসি গ্রেফতার হওয়ার পরও পুলিসের বক্তব্য, উনি নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। এনিয়ে শিয়ালদহ আদালতের বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, অভিযুক্তরা  কি ধর্ষণ ও খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল নাকি তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছে?


ওই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, কোনও বিষয় উড়িয়ে দিতে পারি না। আমরা খতিয়ে দেখছি অভিযুক্তরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ধর্ষণ বা খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন কিনা। তারা একে অপরের পরিচিত। তারা গোটা তদন্তের প্রক্রিয়া বিলম্ব করেছিলেন।


সিবিআইয়ের ওই সওয়াল শুনে বিচারক বলেন, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য তাদের বিরুদ্ধে পৃথক এফআইআর হওয়া উচিত।


সিবিআই এদিন আদালতে বলে, ধর্ষণ কাণ্ডে এখনওপর্যন্ত একজনেরই জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ নেই।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)