নিজস্ব প্রতিবেদন: দুপুরে রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরই প্রত্যাহার। ফেসবুকে সৌমিত্র খাঁ জানালেন, বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষের নির্দেশে ইস্তফা প্রত্যাহার করলাম।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি সূত্রের খবর, মন্ত্রিত্ব না পাওয়া গোঁসা হয়েছে সৌমিত্রর। দুপুর ১টা পর্যন্ত দিল্লির ফোন পাওয়ার আশায় ছিলেন। মুকুল রায়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা থাকলেও যাননি। তবে ফোন আসেনি। বেশ কয়েকবার শিব প্রকাশকে ফোন করেন। ডাক আসছে না, নিশ্চিত হওয়ার পর ফেসবুকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র। লেখেন,'আজ থেকে ব্যক্তিগত কারণে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। বিজেপিতে ছিলাম, আছি আর আগামী দিনে বিজেপিতেই থাকব।' 



  
তার পর ফেসবুক লাইভে এসে শুভেন্দু ও দিলীপকে আক্রমণও করেন সৌমিত্র। দিল্লির নেতৃত্বকে ভুল বোঝাচ্ছেন শুভেন্দু, সাড়ে ৯ মিনিটের ভিডিয়োয় আগাগোড়া এই অভিযোগই করে গিয়েছেন। সৌমিত্রর কথায়, 'এক নেতা এসেছেন, যিনি বলছেন তাঁর নেতৃত্বে সব কিছু হয়েছে। আমি এলাকায় না প্রবেশ করে জিতেছি। আমার মনে হয়েছে যুবমোর্চার পদ দিয়েছে দল। লড়াই করেছি। এই যিনি বিধানসভার দলনেতা হয়েছেন  তিনি নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়। যেভাবে চলছে তাতে যুবমোর্চার সভাপতি হিসেবে লড়াই করা মুশকিল হয়ে উঠছে।তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বারবার। নেতাদের ভুল বুঝিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন তিনিই সবচেয়ে বড় নেতা। তিনি একসময় তৃণমূলে বড় নেতা দেখিয়েছেন।' 


সভাপতির কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি বলে দাবি করেন সৌমিত্র। তিনি বলেন,'সভাপতিকে বললেও অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলা বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে ভালো কিছু হবে না। নতুন নেতা এসে দিল্লির নেতৃত্বকে বিভ্রান্ত করেছেন। দলটা একটা জেলার মধ্যে চলে যাচ্ছে।' তিনি আরও বলেন,এক কেন্দ্রিক দল হয়ে যাচ্ছে। তিনি বারবার দিল্লিকে ভুল বোঝাচ্ছেন। যেভাবে একটি জায়গায় দুজন নেতা হয়ে চলছে তা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতেও দেখতে থাকবেন। অধিকারী অধিকারী করছে, তাতে আমি হতাশ। বিরোধী দলনেতাকে বলব আয়নায় মুখ দেখুন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাবেন না। এভাবে চললে বাংলায় বিজেপি এগিয়ে যাবে না।'


তার কয়েক ঘণ্টা পর বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত বদলান সৌমিত্র খাঁ। ফেসবুকে তিনি জানান,'বিএল সন্তোষজি-র নির্দেশে তাঁর সম্মান রাখতে আমি ইস্তফা প্রত্যাহার করলাম।'



অতিসম্প্রতি বিষ্ণুপুরে দলের সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছিলেন দিলীপ ঘোষ। ডাকা হলেও যাননি সৌমিত্র খাঁ। এর আগে গতবছর যুব কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তখন দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন সৌমিত্র। পরে তাঁর অভিমান ভাঙে।


আরও পড়ুন- বিরোধী দলনেতাকে বলব আয়নায় মুখ দেখুন, সভাপতি অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না: Saumitra


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)