নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যস্ত সময়ে মেট্রোয় আত্মহত্যা। চূড়ান্ত ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের। অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দুর্ভোগ এড়াতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় আত্মহত্যা এড়াতে কড়া ব্যবস্থা নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় শুরু হল প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর বসানোর কাজ। মেট্রো স্টেশনে দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যা রুখতে স্ক্রিন ডোর লাগানোর সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অবশেষে শুরু হল সেই স্ক্রিন ডোর বসানোর কাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী এই স্ক্রিন ডোর?
বর্তমান কলকাতা মেট্রোয় মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার জেরে বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। গন্তব্যে পৌঁছতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় ‌যাত্রীদের। সেই সমস্যার সমাধানে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে থাকবে স্ক্রিন ডোর। এই প্র‌যুক্তিতে প্ল্যাটফর্মের ধারে থাকবে একটি স্বচ্ছ কাচের দেওয়াল। তাতে ট্রেনের কামরার মাপ অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় থাকবে দরজা। ট্রেন এসে ঠিক ওই দরজার মুখে দাঁড়াবে। এর পর ট্রেনের দরজা ও প্ল্যাটফর্মের দরজা খুলবে একসঙ্গে। ‌যাত্রীদের ওঠা নামার পর ‌ফের দু'টি দরজা একইসঙ্গে বন্ধ হবে। এরপর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে ‌যাবে ট্রেনটি।


বিষয়টি সহজভাবে বোঝার জন্য অটোমেটিক লিফ্ট বা এলিভেটরের উদাহরণ দেওয়া ‌যেতে পারে। লিফটের ক্ষেত্রে ‌যেমন নির্দিষ্ট তলে পৌঁছনোর পর লিফটের দরজা ও সেই তলে থাকা দরজাদু'টি একই সঙ্গে খোলে, ঠিক তেমনভাবেই কাজ করবে এই প্র‌যুক্তি। শুধু লিফ্টের ক্ষেত্রে একটিমাত্র দরজা থাকে। এক্ষেত্রে একসঙ্গে অনেকগুলি দরজা খুলবে।



এই স্ক্রিন ডোরের ফলে কেউ কোনওভাবেই আর লাইনের দিকে এগোতে পারবেন না। এরফলে মেট্রোয় দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যা রোখা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী ইস্ট-ওয়েস্ট কর্তৃপক্ষ। কীভাবে কাজ করে এই স্ক্রিন ডোর? দেখুন ভিডিওতে-



আরও পড়ুন, রথযাত্রা করতে চেয়ে ফের নবান্নে বিজেপি, গৃহীত চিঠি