নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে ৩ দিন বন্ধ থাকবে শিয়ালদা ব্রিজ। ১৫ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৮ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই ব্রিজ। এরফলে এই ৩ দিন এপিসি রোড, এমজি রোড, কলেড স্ট্রিট, বিধান সরণি, লেনিন সরণি ও রফি কিদোয়াই রোড এলাকায় এলাকায় কোনও ট্রাম চলাচল বন্ধ থাকবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এখন শিয়ালদা ব্রিজ বন্ধ থাকার ফলে এনআরএস থেকে সোজাসুজি জগত শেঠ সিনেমা হলের দিকে যাওয়া যাবে না। যেতে হবে বেলেঘাটা হয়ে। এনআরএস-এর সামনে থেকে  থেকে উঠে বেলেঘাটার দিকে যাওয়ার জন্য ব্রিজের অংশ ব্যবহার করা যাবে। আবার ওদিকে একইরকমভাবে জগতৎ শেঠ সিনেমা হলের দিকে থাকলেও সোজাসুজি এনআরএস-এ আসতে পারা যাবে না। সেক্ষেত্রে জগৎ শেঠ সিনেমা হল থেকে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের দিক হয়ে কলেজ স্ট্রিট বা এমজি রোড ধরতে হবে। ওই পথেই বেরিয়ে যেতে পারবে।


ব্রিজ বন্ধ থাকার ফলে এই ৩ দিন নিত্যযাত্রীদের বেশ কিছুটা দুর্ভোগের মধ্যেই পড়তে হবে। ৫ মিনিটের পথ বিকল্প রাস্তা ধরে ঘুরে যেতে হবে ১৫ মিনিটে। কী সেই বিকল্প পথ?


১) আপনি হয়তো মল্লিকবাজার নিউরো সায়েন্স-এর সামনে আছেন। সেখান থেকে মানিকতলার দিকে যেতে হলে আপনার হাতের সামনে দুটো পথ খোলা থাকছে। এক, সোজা গিয়ে মৌলালি থেকে ডানদিক নিয়ে কনভেন্ট রোড, তারপর বেলেঘাটা রোড ক্যানাল ইস্ট রোড হয়ে মানিকতলা পৌঁছতে পারেন। অথবা, দ্বিতীয় পথটি হল এনআরএস থেকে বেলেঘাটা হয়ে মানিকতলা যেতে পারেন।


২) এবার মল্লিকবাজার নিউরো সায়েন্স থেকে ধর্মতলার দিকে যেতে হলে আপনি মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ডোরিনা ক্রসিং হয়ে ধর্মতলা পৌঁছতে পারেন। অন্যদিকে ক্রিক রো থেকে উঠে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার হয়ে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ ধরেও আপনি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে নিতে পারেন।


৩) এবার আসি আপনি যদি মানিকতলা থেকে ধর্মতলা যেতে চান, তাহলে কীভাবে যাবেন? এক্ষেত্রেও ২টো বিকল্প রাস্তা বেছে নিতে হবে। এক, আপনি ব্রিজে উঠে ডানদিকে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পাশ থেকে এমজি রোড হয়ে সেন্ট্রাল পৌঁছতে পারেন। অথবা, মানিকতলা বাজারকে ডানদিকে রেখে আর্মহার্স্ট স্ট্রিট হয়ে বিবি গাঙুলি স্ট্রিট ধরে নিতে পারেন। কিংবা সুকিয়া স্ট্রিট হয়ে আর্মহার্স্ট স্ট্রিট ধরে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ধরতে পারেন।


আরও পড়ুন, ফের মিরাক্যাল! স্টেজ ফোর ফুসফুসের ক্যান্সারকে হারিয়ে জীবনযুদ্ধ জয় হালিশহরের অমিতেরও


প্রসঙ্গত, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল কেএমডিএ। সেই কারণেই ব্রিজ বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সিদ্ধান্ত।