নিজস্ব প্রতিবেদন : হাইকোর্টে একগুচ্ছ মামলার জেরে বেশ খানিকটা ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বেশ খানিকটা পিছু হঠতে বাধ্য হল রাজ্য। রাজ্য সরকারের তরফে CAA ও NRC-র বিরোধিতায় কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না বলে, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট  নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রীর মতো একটি সাংবিধানিক পদে থেকে রাষ্ট্রপতির সই করা আইনের কীভাবে বিরোধিতা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই মর্মে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। পাশাপাশি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবের জেরে ক্ষতিপূরণ চেয়েও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রেলও। আজ সব মামলাগুলিরই শুনানি হয়।


সেখানে প্রশ্ন ওঠে, "পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে প্রচারিত এরাজ্যে NRC, CAA লাগু হবে না", সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের বিজ্ঞাপন কীভাবে দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন ওঠে, রাজ্য সরকারের তরফে বলা হচ্ছে যে পরস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, তাহলে ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও বন্ধ কেন? প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে এজি জানান, এই বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখা হচ্ছে। আরও জানান, রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা খুলে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন, NRC িনয়ে মোদী-শাহ পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন, মানুষ এর বিচার করবে, পাল্টা জবাব মমতার


এরপরই প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, সরকারি টাকায় কোথাও কোনও বিজ্ঞাপন চলবে না। ওয়েবসাইট সহ সমস্ত জায়গা থেকে সব বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে রেলকেও নির্দেশ দেন, তাণ্ডবের জেরে তাদের কত টাকা ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে। রেল কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার রিপোর্ট দিতে।