নিজস্ব প্রতিবেদন: কাটমানি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। বামেরাও বা পিছিয়ে থাকে কেন! দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতিটি কলেজে 'কাটমানি উদ্ধারে' নামছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। আর অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে কাটমানি ইস্যুতে কলকাতা পুরসভা অভিযান করতে চলেছে সিপিএম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাটমানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শুদ্ধিকরণের বার্তা বিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছে হাতিয়ার। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। তৃণমূল নেতাদের ঘিরে কাটমানি ফেরত চাইছেন সাধারণ মানুষ। নেপথ্যে বিজেপি কলকাটি নেড়েছে বলে দাবি শাসক শিবিরের। সোমবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ অভিযান করেছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার আবার হাজরা মোড়ে ধরনা কর্মসূচি করেছেন সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। ফলে কাটমানি ইস্যুতে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে সিপিএম। রাস্তায় দেখা যাচ্ছে শুধু বিজেপিকে। এবার কাটমানি ফেরতে দাবিতে নামছে সিপিএমও। 



দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতিটি কলেজে প্রচার চালাতে চলেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। এসএফআই-এর প্রচার বলছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের নেতারা কলেজে ভর্তি হতে কাটমানি চাইলে যোগাযোগ করুন। সাহায্য করবে এসএফআই। বেশ অভিনবই বলা যেতে পারে। 



পিছিয়ে নেই সিপিএমও। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা পুরসভা অভিযান করতে চলেছে তারা। কিন্তু একটা কর্মসূচি করতে এক মাস সময় দরকার কেন, উঠছে সেই প্রশ্ন।  


এদিন হাজরার ধরনা মঞ্চে বিজেপি নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় আসলে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি বেচে কাটমানি ফেরত দেবে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়,''৭৫ শতাংশ কাটামানির টাকা ফেরত দিতে হবে ‌তৃণমূলকে। আমাদের সরকার আসার পর তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা ফেরত দেব। কথা দিয়ে গেলাম''।


লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর দলীয় বৈঠকে কাটমানি নিয়ে নেতানেত্রীদের সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন, কাটমানি নিয়ে থাকলে ফেরত দিতে হবে। এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কাটমানি ফেরতের দাবিতে তৃণমূল নেতাদের ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিবৃতি জারি করে সাফাই দেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করছে মিডিয়ার একাংশ। দলে ৯৯.৯৯ শতাংশ নেতাই সত্‍ ও পরিশ্রমী'। 


আরও পড়ুন- বিজেপির মারে আক্রান্ত ন্যাজাটের অন্তঃসত্ত্বাকে দেখতে হাসপাতালে নুসরত