ওয়েব ডেস্ক: সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের নতুন আইনের প্রথম প্রয়োগ। CPM-এর ৮ ছাত্র-যুবনেতাকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। গেজেট হাতে এজলাসে সওয়াল করলেন সরকারি আইনজীবী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টেট দুর্নীতির অভিযোগে প্রতীকী শবযাত্রা। শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ। ডোরিনা ক্রসিং অবরোধ। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। রাজ্যে এমন বিক্ষোভ নতুন নয়। তবে CPM ছাত্রযুব'র বৃহস্পতিবারের প্রতিবাদের জল গড়াল অন্যদিকে। গ্রেফতার করা হয় শতাধিক SFI-DYFI কর্মী সমর্থককে। জামিন না নিয়ে লালবাজারেই রাত কাটান তাঁরা। কিন্তু, শুক্রবার আদালতে কিন্তু ছবিটা আলাদা। 


 



 


মধুজা সেন রায়,সায়নদীপ মিত্র, ইন্দ্রজিত্‍ ঘোষ, সোহম মুখার্জি, অহনা গাঙ্গুলি, রূপসা সাহা, অনন্যা চট্টোপাধ্যায় এবং সন্দীপন দাস। এই আটজনের বিরুদ্ধে সংশোধিত নতুন আইন প্রয়োগ করেছে রাজ্য। গেজেট নিয়ে এজলাসে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার ২ মার্চ থেকেই সংশোধিত আইন কার্যকর করতে চায়। নতুন আইনের ১৫-এ, ১৫-বি, ১৫-সি ধারায় সাজা তো বটেই ক্ষতিপূরণের উল্লেখও রয়েছে। এছাড়ার কর্তব্যরত পুলিসকে মারধর এবং বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ রয়েছে।  


নেতানেত্রীদের জেল হেফাজতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় SFI ও DYFI। সরব হয়েছেন CPM রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও। তিনি টুইট করেন, মিথ্যে এবং সাজানো মামলায় প্রতিবাদের আগুন নিভবে না। প্রতিবাদীদের মনোবলও ভাঙবে না। সব জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। সংগ্রাম আরও জোরদার করা হবে। বিধানসভায় পাস হওয়ার একমাসের মধ্যেই সংশোধিত আইন কার্যকর। আইনজীবী মহল প্রশ্ন তুলছে, সংশোধিত আইন কি এত দ্রুত প্রয়োগ করা সম্ভব? যদিও, আইন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন সংশোধনীতে রাজ্যপালের সই রয়েছে। তাই যথেষ্ট। আইন প্রয়োগে বাধা নেই। ৮ অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে নগর দায়রা আদালত। রাজনৈতিক মহল বলছে, আইন প্রয়োগে রাজ্য সরকারের কঠোর মনোভাব পরিষ্কার। এরপর থেকে সামান্যতম নিয়মভঙ্গও বরদাস্ত করা হবে না।