নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রত্যাশামতোই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোটে একাধিপত্য বাম সংগঠনের। কলাবিভাগে এসএফআই-র ধারেকাছেই ঘেঁষতে পারল না কেউ। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে জয়ী ডিএসএ। বিজ্ঞান বিভাগ ধরে রাখল উই দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট। তবে প্রথমবার লড়াই করেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চমক দিয়েছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্য়ার্থী পরিষদ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলাবিভাগে দাপাদাপি এসএফআইয়ের। সেন্ট্রাল প্য়ানেলের সব আসনেই এগিয়ে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের কথায়,''যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন। এবিভিপি-কে প্রত্যাখ্যান করেছে ওরা। বিশেষ করে কলাবিভাগের ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন। তাঁরা SFI-র উপরে ভরসা রেখেছেন। বামেরা আছে বলেই বিনা বাধায় ভোটে লড়তে পেরেছে সকলে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের শেখা দরকার। পশ্চিমবঙ্গের বাকি ক্যাম্পাসগুলি দখলে রেখেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখানেও ভোটে লড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। স্পষ্ট হয়ে যাবে ছাত্রছাত্রীরা বামপন্থীদের সঙ্গেই রয়েছে।''


যাদবপুরে ৩ বছর পর ছাত্রভোট হয় বুধবার। বৃহস্পতিবার প্রথম ফলপ্রকাশে বিজ্ঞান বিভাগে ৩৯টি আসনের মধ্যে ৮টিতে নির্বাচন হয়েছিল। বাকি আসনে আগেই জিতেছিল উই দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট। এদিন ওই ৮টি আসনে জিতেছেন ডব্লুটিআই প্রার্থীরা। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে জয়ী ডিএসএ। ওই বিভাগে কেন্দ্রীয় প্যানেলে জয়ী ডিএসএ প্রার্থী পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০৪ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে এবিভিপি পেয়েছে ৫০৮টি। ২৮৮টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে SFI। সৃজন ভট্টাচার্য অবশ্য় এবিভিপি-র উত্থানকে বড়ো করে দেখতে চান না। তাঁর যুক্তি, গতবার এবিভিপি বেনামে দাঁড়িয়েছিল। এবার নিজের নামে দাঁড়িয়ে দুশোটা ভোট কম পেয়েছে।


প্রসঙ্গত, এর আগে কখনও দলীয় প্রতীকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে সরাসরি লড়াইয়ে নামেনি এবিভিপি। জাতীয়তাবাদী সংগঠনের আড়ালে একটি বা দুটি আসনেই লড়াই সীমাবদ্ধ থেকেছে ভোটযুদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবার কলা বিভাগ ও ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সিপি, জিএস, এজিএস ডে, এজিএস ইভিনিং-সব পদেই প্রার্থী দিয়েছিল ABVP। তবে কলা বিভাগে সুবিধা করতে পারেনি গেরুয়া ছাত্র সংগঠন। 


আরও পড়ুন- অভিষেকেই যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে SFI-কে টেক্কা, দ্বিতীয় হল ABVP