মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির রথের পাল্টা পবিত্রযাত্রার ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিজেপির রথযাত্রার পর কর্মসূচির ঘোষণা করল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। তাদের দাবি, রথযাত্রার মাধ্যমে বাংলায় সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। রাস্তায় নেমে তা প্রতিহত করবেন এসএফআই সদস্যরা।    
    
বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলকেও একাসনে বসিয়েছে এসএফআই। সংগঠনের নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের কথায়, ''প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে বিজেপি ও তৃণমূল। রুটিরুজির ব্যবস্থা করতে পারছে না তারা। সে জন্যই ভাগাভাগির রাজনীতি করছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি''। 


রথযাত্রার মাধ্যমে বাংলায় বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করছে বলেও দাবি ময়ূখের। তার পাল্টা মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় নামবে এসএফআই। এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ''লালনের মাটিকে ভাগ হতে দেব না। রবীন্দ্রনাথের মাটিকে ভাগ হতে দেব না। আমার মাটি আমার মা মৌলবাদী হবে না। যেখানে যেখানে ওরা রথযাত্রা করবে, সেখানে সেখানে এসএফআই সভা করবে। সচেতন করবে মানুষকে''।    


উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে এরাজ্যে আসছে তিনটি রথ। সেগুলি আদতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক বাস। মাথায় চড়ার জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে ভাষণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার ও ৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগরে রথযাত্রার সূচনা হবে রথযাত্রার। ৫ ডিসেম্বর তারাপীঠে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। কিন্তু রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় বিধানসভার ভোটগ্রহণ ৭ ডিসেম্বর। তার আগে বাংলায় আসতে পারবেন না অমিত শাহ। ১৪ ডিসেম্বর তারাপীঠে যাবেন সর্বভারতীয় সভাপতি। 


বিজেপির রথকে শুক্রবার রাবণযাত্রা বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে দলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে রথের পাল্টা পবিত্রযাত্রার ডাকও দেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির রথযাত্রায় যাতে কোনও ঝামেলা না হয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, রথ যে রাস্তা কলুষিত করবে, সেই রাস্তাতেই হবে তৃণমূলের শান্তিযাত্রা অথবা পবিত্রযাত্রা। বিজেপির রথ যে রাস্তা ধরে যাবে, সেখানেই পরেরদিন পবিত্রযাত্রা করবে তৃণমূল।   


আরও পড়ুন- নবান্নের সিবিআই 'অনুমতি' বিজ্ঞপ্তি আইনসঙ্গত? সারদা-নারদা তদন্তেরই বা কী হবে?