বেলেঘাটা: বাড়িতে চড়াও হয়ে প্রেমিকাকে গুলি। নেপথ্যে বদলা, প্রতিহিংসা। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য বেলেঘাটার কালীতলা বোস সেনে। গুলিবিদ্ধ তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রেমে বদলা। টার্গেট প্রেমিকা। বাড়ি বয়ে এসে, বাইরে ডেকে একেবারে কপাল তাক করে তাঁকে গুলি। কোনও ফিল্মি ড্রামা নয়, এ ঘটনাই ঘটল খাস কলকাতায়। বেলেঘাটার কালীতলা বোস লেনে। 


গল্পের শুরু অনেক আগেই। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের সূত্রে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় হামলাকারীর। সাইটে যুবকের দেওয়া পরিচয় ছিল, ডক্টর দিবাকর দে। ফেসবুক মারফত বাড়ে দুজনের  ঘনিষ্ঠতা। সেই সূত্রেই রায়গঞ্জে দিবাকরের বাড়িতেও যান ওই তরুণী। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে তাঁকে জবরদস্তি আটকে রাখা হয়। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দিনের পর দিন চলে ধর্ষণ, নির্যাতন। 


দুমাস পর কোনওমতে পালিয়ে কলকাতায় এসেই,বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ করেন ওই তরুণী। কিন্তু এরপরও এড়ানো গেল না বিপদ। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে তরুণীর বাড়িতে পৌছে দরজা  ধাক্কা দেন দিবাকর। দরজা খুলে বাইরে আসামাত্র, তরুণীকে লক্ষ্য করে রিভলভার তাক করেন তিনি। বেশি সময় নেননি ট্রিগার টিপতে। বাড়ির বাইরেই রক্তাক্ত অবস্তায় লুটিয়ে পড়েন তরুণী। 


ঘটনার পর ধরা পড়ে যান হামলাকারী যুবক। এলাকাবাসীর গণপিটুনির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তবে এ ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকাও। রায়গঞ্জ থেকে পালিয়ে কলকাতায় এসে গত সেপ্টেম্বরে বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ করেন ওই তরুণী। কিন্তু এতদিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত দিবাকরকে ধরতেই পারল না পুলিস। কেন?


অভিযুক্ত নিজে এরপর রায়গঞ্জ থেকে চলে এল কলকাতায়। এরপরই বাড়িতে চড়াও হয়ে গুলি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিস যদি আগে তত্‍পরতা দেখাত, যদি আগেই ধরা হত যুবককে, তাহলে হয়ত এড়ানো যেত এই হামলা।  দায় কি এড়াতে পারে পুলিস!