শ্যামবাজার: নিকষ কালো আধার কাটিয়ে কলকাতা সেজে উঠছে ঊষা লগ্নের মত অপরূপ রূপে। মা দূর্গা এসেছিলেন আশ্বিনের শরৎ প্রভাতে। তিন দিনের পুজো আর চার দিনের বিসর্জন কাটিয়ে উমা এখন কৈলাসেই। আসব আসব করে উমা এলেন আবার চলেও গেলেন। মন খারাপের গানেই পালন হয়েছে বিজয়া। এলেন মা লক্ষ্মীও। ধনদেবীর আরাধনাও সম্পূর্ণ। এবার? উৎসব কী শেষ? আজ্ঞে না। সবে তো সন্ধ্যা, রাত এখনও বাকি। দেবী চামুণ্ডার কালী দর্শন যে এখনও বাকি। তিনি আসছেন।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হে প্রাণ, হে ঊষা, হে বাসনা, হে করুণা, হে আত্মন, হে গতি, হে সন্ধান, হে সম্বল-এই সব নিয়েই এসো হে কালী। 'জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী। দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তু তে।।' হে দেবী, তুমি সর্বোৎকৃষ্টা জয়যুক্তা দেবী জয়ন্তী, তুমি জন্ম মৃত্যু বিনাশিনী মোক্ষ প্রদায়িনী দেবী মঙ্গলা, তুমি সর্বসংহারকারিণী কালী, তুমি সুখদায়িনী ভদ্রকালী। দেবী কালীর পুজোতে এবার প্রাধান্য পাবে বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণ। খাস কলকাতার বুকে, এক মণ্ডপেই দেবী কালীর আরাধনার সঙ্গেই দর্শন হবে বাঙালির উৎসবের হাজারো রকমফেরের। শ্যামবাজারের সপ্তরথী ক্লাব তাদের ৪৬ তম কালী আরাধনায় উপস্থাপিত করতে চলেছে এমনই এক অনবদ্য ভাবনা। 


 



 


কলকাতায় ভালো কালী পুজো হয় না! এই মিথ ভেঙেই এবার থিম 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'। সাবেকি প্রতিমা আর মণ্ডপে আধুনিকতার ছোঁয়া, দুইয়ের মিশেলে উত্তর কালকাতাকে জাগিয়ে তুলেছে শ্যামবাজারের সপ্তরহী।