দশমীতে নয়, অষ্টমীতেই সিঁদুরখেলা হাটখোলা দত্তবাড়িতে
হাটখোলা দত্তবাড়ির পুজো শুরু করেছিলেন জগরাম দত্ত। তাঁর হাত ধরেই ১৭৯৪ সাল থেকে শুরু হয় পুজো।
নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তর কলকাতার সাবেক পুজো, দক্ষিণ কলকাতার থিমের পুজো, এই দুয়ের মধ্যেই বংশ পরম্পরায় ঐতিহ্য মেনে স্বতন্ত্র বজায় রেখে চলেছে বনেদি বাড়ির পুজোগুলি। জেলার বনেদি বাড়ির পুজো থেকে খাস কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজো, আচার-অনুষ্ঠানে প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। বংশ পরম্পরায় যা বহন করে আসছেন সেই বাড়ির বংশধরেরা। ঠিক তেমনই খুব পরিচিত এক বনেদি বাড়ি হল হাটখোলা দত্তবাড়ি। রীতি, আচার, ঐতিহ্যে হাটখোলা দত্তবাড়ির পুজো অনন্য।
আরও পড়ুন, ‘কখনো কুমারী সাজতে পারিনি’, দুঃখ কোয়েল মল্লিকের
হাটখোলা দত্তবাড়ির পুজোর অন্যতম আকর্ষণ সিঁদুরখেলা। এই সিঁদুরখেলার মধ্যেই লুকিয়ে হাটখোলা দত্তবাড়ির বনেদিয়ানার ঐতিহ্য। কারণ, হাটখোলা দত্তবাড়িতে সিঁদুরখেলা দশমীর দিন হয় না। সিঁদুরখেলা হয় অষ্টমীর দিন। সন্ধিপুজো মিটলেই সিঁদুরখেলায় মেতে ওঠেন বাড়ির মহিলারা।
ছবিতে দেখুন, উ-ফ-ফ! কি দারুণ দেখতে...
হাটখোলা দত্তবাড়ির মহিলা সদস্যরা জানালেন, এটাই এই বাড়ির রীতি। অষ্টমী পুজোর সময় প্রতিমার চরণে সিঁদুর ছোঁয়ানো হয়। প্রতিমার চরণে ছোঁয়ানো সেই সিঁদুর দিয়েই বাড়ির মহিলারা একে অন্যকে রাঙিয়ে দেন। আনন্দ উত্সবে মেতে ওঠেন সকলে। এদিনও তিথি অনুযায়ী বেলা ১২টা বেজে ৩ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে সন্ধিপুজো। সন্ধিপুজো শেষ হওয়ার পরই শুরু হয়ে যায় বাড়ির মহিলাদের মধ্যে সিঁদুরখেলা।
আরও পড়ুন, কোলাসুরকে বধ করতেই কুমারী রূপ ধরেন মহাকালী!
হাটখোলা দত্তবাড়ির পুজো শুরু করেছিলেন জগরাম দত্ত। তাঁর হাত ধরেই ১৭৯৪ সাল থেকে শুরু হয় দুর্গাপুজো। সেই থেকে একই রীতি মেনে বছরের পর বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে হাটখোলা দত্তবাড়িতে। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনে অক্ষরে অক্ষরে মানা হয় পারিবারিক রীতিনীতি। নিয়ম নিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না।