নিজস্ব প্রতিবেদন: সিঁথিকাণ্ডে নয়া মোড়। নিহত ব্যবসায়ীর ছেলে বিজয় সাউয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করল টালা থানা। প্রত্যক্ষদর্শী আসুরা বিবি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন রাজকুমার সাউ। জোর করে বয়ান লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন আসুরা। তার ভিত্তিতে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে এফআইআর করার অনুমতি চায় টালা থানা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন বিচারক।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিঁথি কাণ্ডে মৃত রাজকুমার সাউয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার টালা থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আসুরা বিবি। তার ভিত্তিতেই শিয়ালদা থানায় এফআইআর দায়েরের আর্জি জানায় পুলিস। আদালত অনুমতি দেওয়ার পরেই রাজকুমারের ছোট ছেলে বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বয়ান লেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিসের নজর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ৩ জনের অটোপসি সার্জেনের করা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুরা বিবির বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলেই খবর গোয়েন্দা সূত্রে। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন রাজকুমারের ছেলে।  আসুরার বয়ান বদলের পর পুলিসি তদন্তে আস্থা নেই পরিবারের। আসুরা বিবিকে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে রাত্রি আবাসে।


পুলিসের বিরুদ্ধে রাজকুমার সাউকে মারধরের অভিযোগের পরেই উধাও হয়ে যান আসুরা। আসুরা বিবি ঘটনার পর দাবি করেন, তাঁর চোখের সামনেই ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউকে মারধর করে পুলিস। এরপরই আচমকা উধাও হয়ে যান আসুরা বিবি। এদিন অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে তাত্পর্যপূর্ণভাবে আগের দাবি নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। উল্টে মৃত রাজকুমারের ছেলের ভয়েই তিনি লুকিয়ে ছিলেন বলে দাবি করেছেন আসুরা। এদিকে 'ভয়ে লুকিয়ে ছিলাম', আসুরা বিবির এই মন্তব্যকে নাকচ করে মৃত রাজকুমার সাউয়ের পরিবার দাবি করেছে, পুলিস অথবা কোনও প্রভাবশালীর চাপেই বয়ান বদল করেছেন মহিলা। সেকারণে পুলিসি তদন্তে তাঁদের আর আস্থা নেই।


অন্যদিকে, বুধবার রাত থেকেই আসুরা বিবির বাসস্থান অর্থাত্‍ পাইকপাড়ার রাত্রিবাসে পুলিসি নজরদারি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, এদিন শিয়ালদা আদালতে প্রথমে কথা থাকলেও, শেষপর্যন্ত সিঁথি থানাতেই আসুরা বিবির গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেন ম্যাজিস্ট্রেট। সব অফিসার ও কর্মীদের থানার বাইরে বের করে দিয়ে ভিতরে জবানবন্দি নেন ম্যাজিস্ট্রেট। থানার ছোট, মেজো, বড় সব অফিসারদের বাইরের বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায়।


বলে রাখি, থানার লকআপে তুলে নিয়ে গিয়ে 'মারধরের' চোটে  মৃত্যু হয়েছে রাজকুমার সাউয়ের। এমনই অভিযোগ করে পরিবার। রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে এলাকা। প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপিও। তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। এরপরই আচমকা উধাও হয়ে যান আসুরা। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে আর ফেরেননি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।


আরও পড়ুন- 'মেট্রোতেও তোমাকেই চাই',ইস্ট-ওয়েস্টের প্রথম দিনে ভালোবাসাবাসি