নিজস্ব প্রতিবেদন: সিঁথি কাণ্ডে নতুন মোড়। মৃত রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যুতে পুলিসের বিভাগীয় তদন্তে আশ্বাস নেই মৃতের পরিবারের। বরং তারা চান সিআইডি তদন্ত। এমনটাই জানালেন মৃতের ভাই রাকেশ সাউ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জয়ের শুভেচ্ছা জানালেন মোদী; একসঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি, বললেন কেজরীবাল


সিঁথি কাণ্ডে ৩ জন পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিলেন মৃতের ভাই। এসআই সৌমেন্দ্রনাথ দাস, এসআই অরিন্দম দাস, সার্জেন্ট চিন্ময় মোহান্তির নামে দায়ের হয়েছিল FIR। অভিযুক্ত এই ৩ পুলিসকর্মীকেই ক্লোজ করা হয়। একইসঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে শুরু হল বিভাগীয় তদন্তও। এই ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। থানায় ভাঙচুর এবং থানার ভিতরের গন্ডগোলের ঘটনায় ২টো পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার  মৃতদেহের অন ক্যামেরা ময়নাতদন্ত করা হয়। বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি, সিঁথির ঘটনায় সম্পূর্ণ তদন্তপ্রক্রিয়াটি-ই হবে হাইকোর্টের নজরদারিতে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে ও মানবাধিকার কমিশনে।


উল্লেখ্য, সোমবার জিজ্ঞাসবাদের জন্য সিঁথি থানায় ডেকে মারধর করা হয় ৫৩ বছরের ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউকে। সেই মারেই মৃত্যু হয় তার। এমনটাই দাবি রাজকুমারের পরিবারের।   অন্যদিকে পুলিসের বক্তব্য অনুযায়ী, ৫৩ বছরের রাজকুমার সাউকে রুটিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকাল ১১টায় সিঁথি থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের দাবি, আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। হৃদরোগ ছিল। ছাঁট লোহার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধে ৬টা নাগাদ পুলিসই তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।


আরও পড়ুন-বৃহস্পতিবার থেকে উধাও হবে শীতের আমেজ! তাপমাত্রা বাড়বে অনেকটাই


অন্যদিকে, মৃতের পরিবার জানিয়েছেন, সন্ধে ছটা নাগাদ সিঁথি থানা থেকে ফোন করে মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়। সুস্থই ছিলেন রাজকুমার। এমনকী হৃদরোগের কথাও জানা ছিল না কারও। তাঁদের অভিযোগ, পুলিসের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, "এদিন থানায় আটকে রাজকুমারকে বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছে, এরপর সাড়ে ৫ টা নাগাদ থানার লকআপেই মারা যান তিনি। গোপনে তার দেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছে।’