নিজস্ব প্রতিবেদন : সিঁথিকাণ্ডে আরও বিপাকে পুলিস। এবার পুলিসের বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ। মৃত রাজকুমার সাউয়ের ছেলের দাবি, ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা তোলা দাবি করা হয়েছে তাঁদের কাছে। সোমবার রাজকুমার সাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিঁথি থানায় আনা হয়। অভিযোগ, জেরার সময় থানার তরফে রাজকুমারের ছেলেকে চোরাই সামগ্রীর একটি তালিকা দেওয়া হয়। পুলিসের প্যাডেই সেই তালিকা দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজকুমারের ছেলেকে বলা হয়, চোরাই সামগ্রী বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। হয় তা ফেরত আনতে হবে, না হলে ওই সামগ্রী বাবদ নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। এখন চোরাই সামগ্রী উদ্ধারের দায় পুলিসের। অভিযুক্তের পরিবারকে কখন-ই তা উদ্ধারের কথা বলতে পারে না পুলিস। এটা আইনের পরিপন্থী। ফলে একদিকে তোলাবাজির অভিযোগ, অন্যদিকে চোরাই সামগ্রী অভিযুক্তের পরিবারকেই উদ্ধার করতে নির্দেশ, নতুন করে জোড়া বিতর্কে জড়াল সিঁথি থানার পুলিস।


প্রসঙ্গত, আশুরা বিবি নামে এক কাগজকুড়ানির কাছ থেকে চোরাই মাল কেনার অভিযোগে সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে রাজকুমার সাউকে তুলে নিয়ে যায় সিঁথি থানার পুলিস। অভিযোগ, তারপর থানার লকআপে মারধরের চোটে মৃত্যু হয় রাজকুমার সাউয়ের। সেই ঘটনা ঘিরে সোমবার রাত থেকে তোলপাড় সব মহল। সেদিনের ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী আশুরা বিবি। পুলিস মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে হৃদরোগে রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেও, আশুরা বিবি জানান যে, "দাস বাবু (এসআই সৌমেন্দ্রনাথ দাস) আমাকে জোর করে চোর অপবাদ দিয়ে বয়ান লিখতে বলে। রাজকুমারের নাম বলতে বলে। তিনি না করলে ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়।"


আরও পড়ুন, 'মা হতে চাই', হাইকোর্টের নির্দেশে বিয়ের ৯ বছর পর স্বামীর সঙ্গ পেতে চলেছেন শিক্ষিকা


আরও পড়ুন, দেশের মধ্যে প্রথমবার, ইউটিউবে শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং করবে কলকাতা হাইকোর্ট


এদিকে, কাল থেকে নিখোঁজ আশুরা বিবি। মঙ্গলবার সকালে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কথা বলে রাত্রিবার থেকে বের হন আশুরা বিবি। বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। কাল সকালের পর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ নেই। রাত্রিবাসের আবাসিকদের কথায়, সোমবার রাতে শরীরে যন্ত্রণা নিয়ে কোকাতে কোকাতে ফেরেন আশুরা। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে আশুরা বিবি জানান, থানায় তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। ইলেক্ট্রিকের ডান্ডা দিয়ে মারা হয়েছে। এখন সিঁথি থানায় পুলিসের 'মারধর'-এ প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।