ভাইরাল ভাগাড়কাণ্ড, রবিবার বিরিয়ানি বয়কট আম বাঙালির
গত কয়েক বছর শহর দখল করেছে বিরিয়ানি। পাড়ার মোড় থেকে বহুজাতিক বিপণিবিতান, বিরিয়ানি যেন বাঙালির জাতীয় খাবার। ভাগাড় কাণ্ডের খবর ছড়াতেই চিড় ধরেছে সেই সম্পর্কে। বুকে পাথর রেখে বিরিয়ানির দোকান পেরোতে হচ্ছে শহর ও শহরতলির বাসিন্দাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বারে রবিবার। তায় আবার লাগাতার বইছে উন্মন দখিনা হাওয়া। সব মলিয়ে পাত পেড়ে পেটপুজো করার জন্য যথেষ্ট অছিলার আয়োজন। কিন্তু বাঙালি সাবধান। বিশেষ করে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায়। কারণ বাজারে ভাইরাল ভাগাড় ও মরা মুরগি। তাই রেস্তোরাঁয় গিয়ে মাংসে 'না' করছেন অতি বড় ভোজনরসিকও। বয়কট বিরিয়ানি।
মহেশতলায় ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস উদ্ধার হওয়ার পরও তেমন একটা পাত্তা দেননি অনেকে। কিন্তু অসুখ যে একা মহেশতলার নয় তা টের মিলেছে গত কয়েক দিনে। সঙ্গে যোগ হয়েছে মরা মুরগির সঙ্গত। খোদ নিউ টাউনেই না কি চলছিল মরা মুরগির কারবার! ভেবেই শিউরে উঠছেন অনেকে।
গত কয়েক বছর শহর দখল করেছে বিরিয়ানি। পাড়ার মোড় থেকে বহুজাতিক বিপণিবিতান, বিরিয়ানি যেন বাঙালির জাতীয় খাবার। ভাগাড় কাণ্ডের খবর ছড়াতেই চিড় ধরেছে সেই সম্পর্কে। বুকে পাথর রেখে বিরিয়ানির দোকান পেরোতে হচ্ছে শহর ও শহরতলির বাসিন্দাদের।
সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় জাল সার্টিফিকেটের রমরমা, চিন্তায় বিকাশ ভবন
রবিবার সকালে হাতিবাগানে হানা দিয়েছিলেন জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি প্রীতম দে। স্থানীয় দুই বিরিয়ানি রসিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেল, যতই কষ্ট হোক না কেন, ফুটপাথের বিরিয়ানিতে আর হাত দেবেন না বলে পণ করেছেন তাঁরা। প্রশ্ন তুললেন, দামি দোকানের ২৫০ টাকার বিরিয়ানি কী করে ৭০ টাকায় বিকোচ্ছে পাড়ায়। তাই রবিবার দুপুরেও শুনশান হাতিবাগানে আরও শুনশান বিরিয়ানির দোকানগুলি।
ওদিকে ভাগাড় কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে নারকেলডাঙার বরফকলের ৫ সহেন্দভাজনকে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। লাগাতার চলছে তল্লাশি অভিযান। কিন্তু পরমপ্রিয় বিরিয়ানি এভাবে ধোঁকা দেবে কখনো কি ভেবেছিল বাঙালি?