খাস কলকাতায় সাপের কামড়ে বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু স্কুলছাত্রীর, অভিযোগ হয়রানির
ফের হয়রানির অভিযোগ শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। ফের প্রশ্নের মুখে শহরের চিকিত্সা পরিষেবা। শহরের একের পর এক হাসপাতালে ঘুরেও, বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হল সর্পদষ্ট স্কুলছাত্রীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের হয়রানির অভিযোগ শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। ফের প্রশ্নের মুখে শহরের চিকিত্সা পরিষেবা। শহরের একের পর এক হাসপাতালে ঘুরেও, সাপের কামড়ে বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হল এক স্কুলছাত্রীর।
বৃহস্পতিবার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ঈশিকা মণ্ডলকে সাপে কামড়ায়। অভিযোগ, তারপর থেকে শহরের নামকরা ৫টি হাসপাতালে হন্যে হয়ে ঘুরলেও, প্রয়োজনীয় চিকিত্সা মেলেনি। বিনা চিকিত্সাতে শনিবার সকালে মৃত্যু হয় ঈশিকার।
অভিযোগ, সাপের কামড়ে অসুস্থ ঈশিকাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় পিয়ারলেস হাসপাতালে। কিন্তু সেখান থেকে ঈশিকাকে সাপে নয়, বেজিতে কামড়েছে বলে রেফার করে দেওয়া হয় বাঙ্গুর হাসপাতালে। সেখান থেকে জানানো হয় ওষুধ নেই, ডায়ালিসিস হবে না।
বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে এরপর ঈশিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় চিত্তরঞ্জন সেবাসদন হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি নেওয়া হলেও, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ডায়ালিসিস করার জন্য ঈশিকার হাতে চ্যানেলই নাকি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরিবারের তরফে অভিযোগ, এরপর বন্ড সাইন দিয়ে ঈশিকাকে ছাড়িয়ে নিয়ে ভর্তি করা হয় মুকুন্দপুর আমরিতে। কিন্তু সেখানেও চিকিত্সা মেলে না। এদিকে চড়তে থাকে বিলের অঙ্ক। শেষে ঈশিকাকে বাঘাযতীনের আইরিস হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। কিন্তু সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম না দেওয়ায় তাদের আর কিছু করার নেই বলে হাত তুলে নেয় আইরিস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, তৃণমূল সবং-এর বুথে বহিরাগত ঢোকালে, আমরাও ঢোকাব : মুকুল রায়
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে একইরকমভাবে শহরের ৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিল ডেঙ্গি আক্রান্ত এক নাবালক। সেক্ষেত্রেও বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল।