শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: নিয়োগের দাবিতে গতকাল কালীঘাটে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। আর আজ ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা হাজির তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অফিসে। কুণাল তাঁদের বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ না উঠলে চাকরি সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে নিশানাও করেন। বলেন, কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মাছিও যেন গলতে না পারে! রবিবারের টেট নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা


কুণাল ঘোষ চাকরীপ্রার্থীদের বলেন, গতকাল আপনাদের আমি বলেছিলাম কিছু আইনজীবী রয়েছেন যারা দুদিকে মামলা করতে গিয়ে সর্বনাশ করে দিচ্ছেন। তাঁরা যদি এদের থেকে দূরে থাকেন তাহলে এদের মঙ্গল। এঁরা যোগ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের চাকরি দিয়েছেন। তাহলে এদের ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার হয়ে কেন এরা চাকরি পাবেন না? তাহলে স্থগিতাদেশ কেন? যেখানে এসএসসির আইনজীবী আদালতে বলে দিচ্ছেন, এঁরা যোগ্য। তাহলে বিচারপ্রক্রিয়ায় দেরী হবে কেন?


শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার এইসব কর্মপ্রার্থীদের ইতিমধ্যেই কাউন্সেলিং হয়ে গিয়েছে, নিয়োগ প্রক্তিয়া একেবার চূড়ান্ত পর্যায়ে। এরপরও তাদের নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এর আগে ওইসব চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। আজ তাঁরা আসেন কুণাল ঘোষের অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, আইনজীবী বিকাশশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এসএসসির মামলাকারীদের কাছ থেকে মামলা করার জন্য ২৭ লাখ টাকা নিয়েছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও তাঁর সহযোগীরা। এমন অভিযোগ রয়েছে। তাহলে গরিব ছাত্র ছাত্রীদের জন্য যারা মামলা করছেন তারা শারীরশিক্ষার জন্য ১ লাখ ১০হাজার ও কর্মশিক্ষার জন্য ৭০ হাজার টাকা নেন কীভাবে? ২৭ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। তার পরেও এদের সুরাহা হয়নি। এখন যখন এদের চাকরি সরকার দিয়ে দিয়েছেন তখন এদের মধ্যে একজন আদালতে গিয়ে বলেছেন বাকীদের যেন চাকরি না দেওয়া হয়। তাদের হয়ে আবার একদল আইনজীবী লড়াই করছেন। ফলে আইনি জটে আটকে রয়েছে এদের চাকরি।


এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, আমাদের কাউন্সেলিং শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপর কোনও একটি অজ্ঞাত কারণে স্থগিতাদেশ হয়ে গিয়ে আমাদের নিয়োগ আটকে রয়েছে। এখন আমাদের অনুরোধ সিট তৈরি হয়ে আমরা যখন কাউন্সলিং পর্যন্ত যেতে পেরেছি তখন বাকীটুকুর জন্য আমাদের সাহায্য করে আমাদের নিয়োগ করা হোক।


নিয়োগ জটিলতা তৈরি করছেন আইনজীবীরা। কুণাল ঘোষের এহেন অভিযোগ নিয়ে আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কুণালবাবু যখন জেলে ছিলেন তখন ওঁর হয়ে কোনও উকিল দাঁড়িয়েছিলেন নাকি দাঁড়ায়নি? সেই মামলা কোনও উকিল করেছিলেন নাকি কুণালবাবু নিজে করেছিলেন? কোনটা? কুণালবাবুকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন সেই জটটা কোনও আইনজীবী তৈরি করেছিলেন নাকি তার পিসি তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন? সাধারণ এইসব বোঝবুদ্ধিগুলো হারিয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি করতে করতে মস্তিষ্কটাও দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। উকিলরা কখনও জট তৈরি করে না।  তৃণমূল কংগ্রেস চাকরি দিয়ে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। আদালত সেখানে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। কুণালবাবুর যদি এতটাই দরদ থাকে তাহলে সরকারকে দিয়ে ঘোষণা করিয়ে দিন না, যত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে সব বাতিল।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)