তৃণমূলকে ছাড়, বিজেপিই পয়লা শত্রু, বামেদের সঙ্গে জোট-নির্দেশ দিয়ে বার্তা সনিয়ার
শুক্রবার দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকে বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ। বাংলায় ঠিক কি এমনটাই করতে চলেছে কংগ্রেস? দিল্লিতে সনিয়া-সোমেনের বৈঠকের নির্যাস বলতে এটাই। বাংলায় বিজেপিকে রোখাই যে অগ্রাধিকার সেটা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে বুঝিয়ে দিলেন সভানেত্রী। দিলেন বামেদের সঙ্গে জোটের সবুজ সংকেতও।
শুক্রবার দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকে বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। ওই বৈঠকে রাজ্যে কংগ্রেসের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সনিয়া স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে রুখতে হবে। তৃণমূলকে নিয়ে আপাতত ভাবনা নেই। কিন্তু বিজেপিকে কোনওভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। গেরুয়া শিবিরকে বামেদের হাত ধরার ব্যাপারেও সবুজ সংকেত দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন, বামেরা রাজি থাকলে এখনই সমঝোতা পাকা করে ফেলা হোক।
সনিয়ার বার্তা পেয়ে দিল্লি থেকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে ফোন করেন সোমেন মিত্র। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার বিধান ভবনের বৈঠকের পরই সূর্যকান্ত মিশ্র ও সোমেনের বৈঠকের দিন স্থির হবে।
লোকসভা ভোটে বাংলায় বাম-কংগ্রেস নিয়ে রাহুল গান্ধী-সীতারাম ইয়েচুরির কথা অনেক দূর এগোলও শেষ পর্যন্ত আর দানা বাঁধেনি। আলাদা লড়াই করেছে বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু তাতে বিজেপির সুবিধা হয়ে গিয়েছে বলে ধারনা সিপিএম-কংগ্রেস নেতৃত্বের। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে জোটে লড়াই করলেও সাফল্য আসেনি। কিন্তু তারপর আর দুই শিবির আর কাছাকাছি আসেনি। ৩ বছর পর লোকসভা ভোটে চেষ্টা হয়েছিল। সিপিএম-কংগ্রেস দুই দলের নেতৃত্বই মনে করছে, ভোটের আগে জোটকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না মানুষ। জোট যদি করতেই হয় আগেভাগে করাই শ্রেয়। আর সেই পথ প্রশস্ত করতে সিপিএম-কংগ্রেসের মঞ্চে দুই দলের নেতাদের দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিককালে।
বলে রাখি, জোট নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন বৈঠকও হয়ে গিয়েছে সূর্যকান্ত মিশ্র, সোমেন মিত্র ও বিমান বসু। আলিমুদ্দিনের অন্দরের খবর, বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আর কোনও ছুৎমার্গ নয়। আগামী সব ভোটেই হাতের হাত ধরে চলবে সিপিআইএম। কারও কোনও ছুৎমার্গকে আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। বিস্তারিত পড়ুন- আগামীতে কংগ্রেসের 'হাত' ধরে চলবে সিপিআইএম, চূড়ান্ত সোমেন-বিমান-সূর্যকান্তের বৈঠকে