রবিতে `রাজনৈতিক গুরু`, শুক্রে সৌমিত্র-উবাচে সেই মুকুল হলেন `চাণক্য নন মীরজাফর`
জনশ্রুতি লোকসভা ভোটের আগে মুকুলে সৌজন্যেই বিজেপিতে এসেছিলেন সৌমিত্র খাঁ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা করে সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) বলেছিলেন,''মুকুলদার কাছে রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয়েছে আমার।'' শুক্রবার মুকুল (Mukul Roy) তৃণমূল ভবনে ঢুকেই 'রাজনৈতিক গুরু' সৌমিত্রর কাছে হলেন,'মীরজাফর।' কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম না করে বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন,''বাংলার দায়িত্বে থাকা এক কেন্দ্রীয় নেতা মুকুলের উপর বেশি ভরসা করেছিলেন। টিকিট বণ্টনে ওঁর হাত ছিল। ক্ষতি করে গিয়েছেন।''
জনশ্রুতি লোকসভা ভোটের আগে মুকুলের (Mukul Roy) সৌজন্যেই বিজেপিতে এসেছিলেন সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। এ দিন তিনি জানান,''আমি শিবপ্রকাশজির হাত ধরে এসেছিলাম।'' মুকুল রায় চাণক্য হলে নিজের ছেলেকে কেন জেতাতে পারলেন না, সেই প্রশ্ন তুলে বিজেপি নেতা বলেন,''প্রথমবার বিজেপির দয়াতে বিধায়ক হয়েছেন। বাংলার রাজনীতিতে মুকুল রায় (Mukul Roy) চাণক্য নন। আমিও এককালে ভাবতাম! ভোটের সময় দেখলাম মুকুল তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুকে জেতাতে পারলেন না। বাংলায় বিজেপিকে জেতাতে পারল না। বরং বিজেপির ক্ষতি করেছে। কাছ থেকে বাংলার মীরজাফরকে দেখলাম।''
তাঁর সংযোজন,''বাংলায় দায়িত্বে থাকা এক কেন্দ্রীয় নেতার ভুল করেছেন। ওঁর উপরে বেশি ভরসা করেছিলেন। টিকিট বণ্টনে হাত ছিল। ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছে দলের। ২০০১ সালে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ৫৬ হাজার ভোটে হেরেছেন। ভয়ে বিধানসভা ও লোকসভায় দাঁড়াতে চাননি। মুকুল রায়কে বাদ দিয়েই তৃণমূল দুশোর বেশি আসন রয়েছে। উনি চাণক্য নন মীরজাফর, তার প্রমাণ পেলাম।''
বলে রাখি, রবিবার মুকুলের সঙ্গে দেখা করার পর সৌমিত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন,''মুকুল'দার সঙ্গে আজকের সম্পর্ক নয়। ওঁর কাছে রাজনীতিতে হাতে খড়ি।
আরও পড়ুন- কই ঘরছাড়া কর্মীদের নাম-ঠিকানা দিন, Tathagatha-কে তাগাদা Chandrima-র