নিজস্ব প্রতিবেদন: খেলোয়াড়ি জীবনে কয়েক পা এগিয়ে এসে বলকে পাঠাতেন বাউন্ডারির বাইরে। মাঠ ছাড়লেও সেই 'বাপি বাড়ি যা'-র টাইমিং ধরে রাখলেন সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)। বুকে ব্যথা হওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেন। ৩টের মধ্যে তাঁকে ক্যাথল্যাবে পাঠানো হল। ৬ ঘণ্টার এই 'গোল্ডেন আওয়ার' ধরে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। এমনটাই জানালেন ওই হাসপাতালে সিইও চিকিৎসক রূপালি বসু।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকাল ১১টা নাগাদ বুকে ব্যথা হয় সৌরভ গাঙ্গুলির (Sourav Ganguly)। তখন তিনি বাড়ির ট্রেডমিলে হাঁটছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ফোন যায়। হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয় সৌরভকে। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে হাসপাতালে আসেন। দুপুর ৩টের আগে ক্যাথল্যাবে পাঠানো হয় সৌরভ গাঙ্গুলিকে। রূপালি বসুর কথায়,'আমাদের ফোন করেছিলেন দাদা। বলেছিলাম, চলে এসো। ঘণ্টা দুয়েক অর্থাৎ ১টার মধ্যেই এসেছিলেন। প্রথমে ইকো কার্ডিওগ্রাফি ও ইসিজি করানো হয়। দুটোতেই জটিলতা ধরা পড়ে। ৩টের মধ্যে ক্যাথল্যাবে পাঠিয়ে দিতে পেরেছিলাম। ১১টা থেকে ৩টের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটি হওয়ায় 'গোল্ডেন আওয়ার' মানে ৬ ঘণ্টা ধরে রাখতে পেরেছি।  তিনটি ধমনীতে ব্লকেজ ছিল। এরপর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করি। স্টেন্ট বসাই। ধমনী খুলতেই হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন শুরু হয়ে যায়।' 


 'গোল্ডেন আওয়ার' কী? চিকিৎসক সুশান মুখোপাধ্যায় বলেন,'হৃদযন্ত্রে ধমনীর মাধ্যমে পৌঁছয় অক্সিজেন। ধমনী বন্ধ হয়ে গেলে কোষসমষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় না। ৬ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা হলে বিপদ অনেকটাই এড়ানো যায়। এটাকেই বলে গোল্ডেন আওয়ার।'  অনেক ক্ষেত্রেই গোল্ডেন আওয়ারের নিয়ম মানেন না বহু মানুষ। যত সময় অতিক্রান্ত হয় তত বিপদ বাড়ে। তবে সৌরভ গাঙ্গুলি বিচক্ষণতা দেখিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেছেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এরপর কী? রূপালি বসুর কথায়,'সার্জারি ও অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির বিকল্প আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করতে বলব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষজ্ঞরা। বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলব।' 


বয়স ৪৮ হলেও সৌরভ ফিটনেস ধরে রেখেছেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে ধমনীতে ব্লকেজ? রূপালি বসু পরামর্শ দিচ্ছেন, এই জন্যেই বলি ৪০ র পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আবশ্যক। বছরে অন্তত একবার করানো দরকার। অনেক বছর সৌরভ গাঙ্গুলি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাননি। সম্ভবত ফিটনেস ধরে রেখেছেন, সে কারণে মনে করেননি। এখানেই সজাগ থাকতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা একবছর অন্তর করানো জরুরি। এতে কিডনি, পাকস্থলী ও হৃদযন্ত্র কী অবস্থায় আছে, তা জানা যায়। 


 


আরও পড়ুন- #GetWellSoonDada : ভাল আছেন দাদা, খেয়েছেন চা-বিস্কুট