অঞ্জন রায়: অমিত শাহ রাজ্যে এসে ঘুরে গিয়েছেন। তার আগে এসেছেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। মহালয়া হত দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তর্পণ করেছেন বিজেপি নেতারা। গান্ধী সংকল্প যাত্রাও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কোথাও দেখা নেই শোভন-বৈশাখীর। এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'নিরুদ্দেশ শোভন-বৈশাখী, কোথায় গিয়েছেন তাঁরা? কর্মীদের প্রশ্নের মুখে নেতৃত্ব' শিরোনামে মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেখা দিলেন শোভন-বৈশাখী। হাজির হলেন সল্টলেকের স্ট্যাডেল হোটেলে। উপলক্ষ, রাহুল সিনহার জন্মদিন। রাহুলবাবুকে অভিনন্দন জানান তাঁরা।



সেই যে দিল্লিতে গিয়েছিলেন, আর দেখা দেননি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা কোথায়? সেনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরেই। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সভাতেও দেখা দেননি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এলেন রাহুল সিনহার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। এখানেও উঠছে প্রশ্ন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতির চেয়ে রাহুল সিনহার জন্মদিনের পার্টি কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? দলের কাজেই বা যোগ দিচ্ছেন না কেন?



১৪ অগাস্ট ঘটা করে দিল্লির বিজেপি অফিসে পদ্মপতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। জুটিতে বিজেপিতে যোগদান করলেও প্রথম থেকে তাঁদের নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। বিজেপির অফিসে সংবর্ধনায় আমন্ত্রণপত্রে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না থাকায় গোঁসা হয় শোভনের। সে যাত্রায় তাঁর মানভঞ্জন করেন নেতারা। এর মধ্যে আবার তাঁদের ডাল-ভাত বলে বিতর্ক বাড়িয়ে তোলেন দিলীপ ঘোষ। এরপর 'ট্রায়াঙ্গল' হয়ে ওঠেন দেবশ্রী রায়। তাঁকে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে আপত্তি জানান শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে বসেন, শোভনের নয়, আসলে আপত্তি বৈশাখীর। সেটা নিয়ে জমে ওঠে একপ্রস্ত নাটক।  কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়ে দেন, বৈশাখীর আপত্তি মানা হবে না। দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে স্বাগত জানানো হবে। তখনই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন শোভনবাবু। 


এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে সোজা চলে যান দিল্লিতে। দেখা করেন মুকুল রায়ের সঙ্গে। কিন্তু বিবাদ যে মেটেনি তা কলকাতায় ফিরে স্পষ্ট করে দেন দুজনেই। সেই সেপ্টেম্বর মাস। তারপর থেকে আর প্রকাশ্যে আসেননি শোভন-বৈশাখী। কোথায় গিয়েছেন তাঁরা? অমিত শাহের কলকাতার সভাতেও গরহাজির ছিলেন তাঁরা। ফাঁকতালে গান্ধী সংকল্প যাত্রার দায়িত্ব পেয়ে গিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। 


আরও পড়ুন- রামলীলা সংখ্যালঘুদের ভীত করে তোলে, শিশু পর্নের সঙ্গে তুলনা অভিনেতা প্রকাশ রাজের