কালীঘাটে কাননের কপালে ফোঁটা দিলেন দিদি, মুখ বাঁচাতে `সৌজন্যে`র সাফাই দিলীপের
দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভবনা নিয়ে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে শোভনের।
অঞ্জন রায়: নভেম্বরে শেষ সাক্ষাত্। মঙ্গলবার দুপুরে দিদির বাড়িতে হাজির হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে বিড়ম্বনা বেড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। তবে শোভন-মমতা সাক্ষাত্কে 'সৌজন্য' আখ্যা দিয়ে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''ঠিকই আছে। ওদের পুরনো সম্পর্ক। ফোঁটা নিতেই পারে। কে কার কাছে ফোঁটা নেবে, তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে না।'' বিজেপির রাজ্যসভাপতি যা-ই বলুন না কেন, বছরখানেক পর দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক জোড়া লাগার আভাস পেয়েছে রাজনৈতিক মহল। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্ বিজেপির জন্য অশনিসংকেত।
গতবছর নভেম্বরে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছেড়েছিলেন মেয়রের পদ। তারপর থেকে রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন দিদির কানন। লোকসভা ভোটের মাসখানেক আগে থেকে শোভনের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চলছিল জোর জল্পনা। অবশেষে চলতি বছর ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শোভন-বৈশাখী। এরপর রাজ্য দফতরে তাঁদের সংবর্ধনা জানানো নিয়ে শুরু হয় প্রথম বিতর্ক।
শুরুর হোঁচটের পর দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভবনা নিয়ে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে শোভনের। দেবশ্রীকে নিয়ে আপত্তি তোলেন শোভনবাবু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, বৈশাখীর কথায় দেবশ্রীকে নিয়ে অনীহা শোভনের। তবে ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা দলে মানা সম্ভব নয়। এরপর দিল্লিতে উড়ে যান শোভন-বৈশাখী। ফিরে এসে স্পষ্ট জানান, এখনও সমস্যা মেটেনি।
এরপর রাজ্যে এসেছেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসায় হত বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে মহালয়ায় তর্পণ করেছেন। সেই অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি শোভনকে। এমনকি নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অমিত শাহের সভাও এড়িয়ে গিয়েছেন তাঁরা। বিজেপির মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁরা কোথায়? দলের কর্মসূচিতে উপস্থিত না থাকতে পারলেও রাহুল সিনহার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শোভন-বৈশাখী। তখনই তাঁদের অবস্থান নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। মঙ্গলবার জোরাল হল সেই প্রশ্ন। বিজেপিতে কি আছেন শোভন-বৈশাখী?
আরও পড়ুন- Zee 24 Ghanta Exclusive: ভোটে জিততে গেলে জনসংযোগ বাড়ান, কাকে একথা বললেন দিলীপ?