কমলিকা সেনগুপ্ত: নিরাপত্তা ফিরে পেয়েছেন। এবার কি তৃণমূলের বৈঠকেও ডাক পেতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। জোর গুঞ্জন এখন তৃণমূলের অন্দরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৭ নভেম্বর দলের বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, এখনও শোভনবাবু তৃণমূলের বিধায়কই। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ওই বৈঠকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ডাক পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।                 


চলতিবছর ১৪ অগাস্ট বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে গতবছর নভেম্বরে ছেড়েছিলেন মন্ত্রিত্ব। তারপর থেকে আর তৃণমূলমুখো হননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ভাইফোঁটাতে গলে বরফ। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। মমতার সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কিন্তু বেশকিছুক্ষণ হালকা কথাবার্তা হয়েছে তাঁদের। তারপরই এদিন শোভনকে ওয়াই ক্যাটগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। দুইয়ে দুইয়ে চার করতে বেশি মাথা ঘামাতে হচ্ছে না। অনেকেই মনে করছেন, ৭ নভেম্বর তৃণমূলের বিধায়ক দলের বৈঠকে শোভন হাজির হলেই উঠবে নাটকের পর্দা।



ভাইফোঁটায় মমতা-শোভন সাক্ষাতকে সৌজন্যের রাজনীতি বলে সাফাই দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শুক্রবার দিলীপের কথাতেই স্পষ্ট, শোভনের আশা আর করছেন না তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন,''কোনও দায়িত্বের কথা হয়নি। সক্রিয় কাজেও যুক্ত ছিলেন না। বিজেপিতে আসার পর একদিন এসেছিলেন রাজ্য দফতরে। সম্মান জানিয়ে দিয়েছিলাম। দলের কর্মসূচিতে ছিলেন না। আমি নিজেও ফোন করেছিলাম। রাস্তায় ১ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। দান করে দিলাম। এতে দলের কোন ক্ষতি হয়নি।'' 


আরও পড়ুন- শোভনকাণ্ডে মুকুলকে টেক্কা দিতে গিয়ে দলের মুখ পোড়ালেন দিলীপ, ক্ষুব্ধ দিল্লি নেতৃত্ব