নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির হাত ধরেই রাজনৈতিক জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মেয়র ও মন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর বছর গড়ানোর আগেই যোগ দিতে চলেছেন বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিতে, তেমনটাই অন্তত খবর। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই দিল্লির অফিসে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বরণ করে নেবেন মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষরা। শুধু শোভনই নন, শোনা যাচ্ছে, বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের কয়েকজন সাংসদও।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটা সময়ে ছিলেন দলনেত্রীর নয়নের মণি 'কানন'। কিন্তু তারপর হঠাত্ই মন্ত্রিত্ব ত্যাগ। কলকাতা পুরসভার মেয়রের আসনও ছেড়ে দেন। রাজনীতি থেকে খানিকটা দূরেই সরে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্তরালে থাকাকালীনই জল্পনা চলছিল, শোভন চট্টোপাধ্যায় কি এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লি গিয়েছিলেন। সেই জল্পনা পেয়েছে আরও হাওয়া।
সূত্রের খবর, পুজোর আগেই গেরুয়া শিবিরের হাত ধরতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। 



কেন শোভনকে দরকার? 


লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পেলেও কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলায় একেবারে গোল্লা। ওই জেলায় তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সংখ্যালঘু ভোটারদের মধ্যেও তাঁর প্রভাব যথেষ্ট। এমতাবস্থায় শোভনকে টেনে একইসঙ্গে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংগঠন মজবুত করতে চাইছে বিজেপি। এরইসঙ্গে যোগ হয়েছে আসন্ন পুরভোট। বেহালা পূর্ব ও পশ্চিমের ওয়ার্ডগুলিতেও প্রাক্তন মেয়রের লোকবল রয়েছে। মেয়র হিসেবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ট্র্যাক রেকর্ড মন্দ নয়। কলকাতা পুরসভা দখলের লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে শোভন হতে পারেন তাদের মস্ত বড় হাতিয়ার।


লোকসভা ভোটের পর পুরনো নেতা-কর্মীদের দলে ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর নির্দেশমতো শোভনকেও ফেরানোর চেষ্টা করেছেন নেতারা। কিন্তু আর পুরনো দলে ফিরতে নারাজ শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে দিদি ও কাননের মুখোমুখি লড়াই হয়ে উঠেছে অবশ্যম্ভাবী। 


আরও পড়ুন- বাংলায় বিজেপির সংগঠনে বড় রদবদল? প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক ঘিরে জল্পনা